করোনা ভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে দেড় মাসে বেকার হয়েছে ৩ কোটি মানুষ। দেশটিতে প্রতি সপ্তাহেই বেকারভাতার জন্য নিবন্ধন করছেন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ মানুষ। এছাড়াও ধস নেমেছে মার্কিন শেয়ারবাজারেও।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে বেকারত্ব হার সাড়ে ১৮ শতাংশের ওপরে। লকডাউনের কারণে প্রতিদিনই বেকার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই বছরই হয়তো সবচেয়ে বেশি করুণ অবস্থাতে পড়বে এই দেশ। দেশটির শ্রম অধিদপ্তরের এমন খবর প্রকাশের পরপরই ধস নেমেছে শেয়ারবাজারে।
এদিকে, বেকারত্ব বাড়তে শুরু করেছে ইউরোজোনেও। এ অঞ্চল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী কঠিন মন্দার মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইউরোপের কেন্দ্রী ব্যাংক ইসিবি। চলতি বছর ইউরোপের জিডিপি ৫ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে বলেও জানান তারা।
ইউরোজোনের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন ও ইতালি। একদিকে যেমন বাড়ছে বেকারত্ব, অন্যদিকে মন্দার মুখে পড়ছে অর্থনীতি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বলছে, ২০২১ সালের আগে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্টি হওয়া এ মন্দা থেকে বের হতে পারবে না ইউরোজোন।
একজন মার্কিন বলেন, যেখানে আমরা দেশ আর দেশের বাইরের লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করি, সেখানে আমাদের দেশের এ অবস্থা। প্রতি মাসেই বেকার সংখ্যা বাড়ছে। এখন তো আর চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছি না।
আনন্দবাজার/রনি
