বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রকোপে থমকে আছে পৃথিবী। সেই সাথে থমকে আছে বিশ্বের অর্থনীতি। করোনার কারণে অন্যান্য খাতের ন্যায় দেশের মাছ রফতানিতেও ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গত এক মাসে ইউরোপের জার্মানি, ইতালি, রাশিয়া, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ মোট ২৯০টি ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে। এতে চরম সংকট দেখা দিয়েছে এ শিল্পে।
মৎস অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অর্ডার বাতিল হওয়া ২৯০টা কন্টেইনারে রফতানি আয় হতো ৪৬০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯৮ শতাংশই গলদা, বাগদা ও হরিণা চিংড়ি। বাকি ২ শতাংশ অন্যান্য সাদা মাছ। এর মধ্যে ভেটকি, কাতলাসহ অন্যান্য মাছ রয়েছে।
মৎস অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. রমজান আলী জানান, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মাছের ২৯০টি কন্টেইনারের অর্ডার বাতিল হয়েছে। করোনার পর ফের সব কিছু স্বাভাবিক হবে আশা করছি।
পৃথিবীর প্রায় অর্ধশতাধিক দেশে মৎস্য ও মৎস্যজাতপণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে প্রায় ৬৮ হাজার ৬৫৫ মেট্টিক টন মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রফতানি করে প্রায় তিন হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব অর্জিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩১ হাজার ১৫৮ মেট্টিক টন চিংড়ি রফতানি করে ২ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা এবং ৩৫ হাজার ১৪৮ মেট্টিক টন ফিনফিস রফতানি করে ৮৯৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব অর্জিত হয়েছে। করোনার কারণে মাছ থেকে রাজস্ব আয় কমার পাশাপাশি রফতানি আয়ও হারাচ্ছে বাংলাদেশ।
এছাড়া মাছের ফেলে দেওয়া অংশগুলোও রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে বাংলাদেশ। এসব দিয়ে স্যুপ তৈরি হয় এবং পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই স্যুপের চাহিদা ব্যাপক।
আনন্দবাজার/ টি এস পি