ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার কারণে সংকটে দেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান

উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) অনুমোদনের পর চলতি বছরের শেষে সাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান করার কথা ছিল পেট্রোবাংলার। করোনার প্রভাবে বিশ্ব বাজারের জ্বালানি তেলের অব্যাহত দরপতনের কারণে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। এমন পরিস্থিতিতে কোনো কোম্পানি এগিয়ে আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বঙ্গোপসাগরে পেট্রোবাংলার  ২০১৭ সালের যে ব্লক মানচিত্র সেখানে সব মিলিয়ে ব্লক রয়েছে ২৬টি। এর মধ্যে অগভীর সমুদ্রে রয়েছে ১১টি আর গভীর সমুদ্রে রয়েছে ১৫টি ব্লক। যার মধ্যে মাত্র চারটি ব্লকে আন্তর্জাতিক তেল গ্যাস অনুসন্ধান উত্তোলনকারী কোম্পানি কাজ করছে। বাকি ২২টি ব্লক পড়ে রয়েছে খালি।

এদিকে দেশের খনিগুলোতে গ্যাসের উৎপাদন কমতে শুরু করেছে। গত জুন পর্যন্ত এক বছরে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন কমেছে মাসে ৩৫০ মিলিয়ন ঘনমিটারের (এমএসসিএম) বেশি। হাইড্রোকার্বন ইউনিটের সমীক্ষা এবং পেট্রোবাংলার তথ্য বলছে, নতুন খনি আবিষ্কার না হলে ২০৩০ সাল নাগাদ দৈনিক গ্যাসের উৎপাদন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুটের নিচে নেমে আসবে।

দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার সাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধান জোরদার করার চেষ্টা করছিল। সেই প্রচেষ্টাকে জোরদার করতে আগামী সেপ্টেম্বরে পিএসসি আহ্বানের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পেট্রোবাংলা।

জ্বালানির অব্যাহত দরপতনের কারণে আন্তর্জাতিক তেল গ্যাস কোম্পানিগুলো বিপাকে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দর না বাড়লে সাগরের মতো ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি খুঁজে পাওয়া কঠিন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এমন পরিস্থিতিতে পিএসসি আহ্বান করলে কেমন ফল পাওয়া যাবে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসেন মনসুর বলেন, আমরা সাগরের বাড়তি অনেক ব্লক পেলাম। কিন্তু কোনও কাজ হলো না। জ্বালানি তেলের দাম প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসায় বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এখন লোকসান গুনতে শুরু করবে। এ অবস্থায় দরপত্র আহ্বান করলে সাড়া খুব বেশি পাওয়া নাও যেতে পারে।

 

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন