বাজারে ক্রয় কেন্দ্র খুলে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট (বাসদ মার্কসবাদী)। আজ বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসানকে দেওয়া স্মারকলিপিতে এ দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো- একজন মানুষ একাধিক কার্ডের মাধ্যমে ধান দিতে পারবে না। অন্যের কার্ড ব্যবহার করে ধান দেওয়া নিষিদ্ধ করতে হবে। সামান্য অজুহাতে ধান ফেরত দেওয়া চলবে না। কৃষিকার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্রের মিল থাকলে ৫-৪৫ মণ পর্যন্ত ধান যে কেউ সরকারি গুদামে নিয়ে এলে তার কাছ থেকে ধান কিনতে হবে। অ্যাপের মাধ্যমে ধান ক্রয়ের নামে কৃষককে বঞ্চিত করা চলবে না।
স্মারকলিপিতে নেতারা জানিয়েছে, করোনা দুর্যোগে ঝুঁকি নিয়ে ক্ষেতে ফসল ফলিয়ে সবচেয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে দেশের কৃষকরা। এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকার ধান কেনার ঘোষণাও দিয়েছে। কিন্তু বিগত বছরের মতো এবারও প্রকৃত কৃষকরা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারবে না বলে আশঙ্কা করেছেন তারা।
দুর্নীতি বন্ধ করার পাশাপাশি সরাসরি কৃষকের উৎপাদিত ধানের মূল্য নিশ্চিত করতে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু ও সাধারণ সম্পাদক আহসানুল আরেফিন তিতু।
এদিকে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলে এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমি। সেখানে আবাদ হয়েছে ৫ লাখ ৩০০ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রার শতকরা হার ৯৯ দশমিক ৪ শতাংশ। বর্তমানে বোরো ধানের বয়স হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ দিন। আর পনের দিন পরেই কৃষক এ ধান গোলায় তুলবে।
আনন্দবাজার/শহক