চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার আটকে থাকার কারণে খাতুনগঞ্জের আড়তে তৈরি হয়েছে আদার সংকট। এই পরিস্থিতিতে সংকট কাটাতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুরোধে ১৩৫ টাকা দরে ৮১ হাজার কেজি আদা বিক্রি করে দিয়েছে ফরহাদ ট্রেডিং।
ফরহাদ ট্রেডিং এর মালিক নুর হোসেন জানান, তার কাছে তিন কন্টেইনারে সর্বমোট ৮১ হাজার কেজি আদা ছিলো। তিনি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৩৫ টাকা দরে বন্দর থেকেই সব আদা বিক্রি করে দিয়েছেন।
নুর হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে আমার কাছে থাকা সব আদা ১৩৫ টাকা দরে চট্টগ্রাম বন্দর থেকেই বিক্রি করে দিয়েছি। আমার হাতে যদি এখন আরো কন্টেইনার থাকতো সেগুলো এই দামে বিক্রি করে দিতাম। আমি আগেও অতিমুনাফার লোভ কখনো করিনি। কারণ ব্যবসায়ী পরিচয়ের আগে আমি প্রথমে একজন মানুষ। আর মাসটা বরকতময় রমজান।
তিনি আরও বলেন, বহির্নোঙরে জাহাজজটের কারণে এই কন্টেইনারে প্রচুর ডেমারেজ এসেছে। প্রশাসনের অনুরোধে আমি ন্যূনতম খরচ যোগ করে আদা বিক্রি করে দিয়েছি। গতকাল এক কন্টেইনারে ২১ হাজার কেজি সরবরাহ দিয়েছি। আমি আশা করি আজ রাতে বাকি দুই কন্টেইনার বন্দর থেকে ছাড় হবে। ফলে খাতুনগঞ্জের আড়তে এই আদা কেজি ১৫০ টাকার বেশি বিক্রির সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত সেনাবাহিনী ও র্যাব এর সহায়তায় চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে কঠোর অভিযান পরিচালনা করছে। অতিরিক্ত মুনাফায় আদা বিক্রি করায় কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস