বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে ধস নেমেছে দেশের আবাসনখাতে। পুঁজির সবটা দিয়ে বিনিয়োগ করে বানানো হয়েছে ফ্ল্যাট। তবে গত এক মাসে বিক্রি হয়েছে দুই একটি, পড়ে আছে অধিকাংশই। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা জানান, আবাসনখাতের সঙ্গে রড, বালি, সিমেন্ট থেকে প্রায় দু’শর বেশি পশ্চাদসংযোগ শিল্প জড়িত। তাই এখনই ব্যবস্থা না নিলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সমগ্র অর্থনীতিতে।
আবাসনখাতের সংগঠন রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সহ সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, করোনা বাংলাদেশে আঘাত হানার পর গত এক মাসে বাংলাদেশে কোন ফ্ল্যাট বিক্রি হয়নি বললেই চলে। কিনে এখনই বসবাস করতে পারবে এমন অনেক ফ্ল্যাট সারা দেশে প্রস্তুত আছে। এসব ফ্ল্যাট প্রস্তুত করতে গিয়ে আবাসনখাতের ব্যবসায়ীদের পুঁজির বড় অংশ বিনিয়োগ করতে হয়েছে। ফ্ল্যাট বিক্রি হচ্ছে না, বিনিয়োগও ফেরত আসছে না।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ২০১২ সালে আবাসনখাতে ধস নামে। এ অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে প্রায় চার বছর সময় লেগেছে। করোনা ব্যাধি কবে শেষ হবে তা কেউ জানে না। তাই আবাসনখাতের বর্তমান স্থবিরতা দূর করতে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আবাসনখাতের ব্যবসায়ীদের কম দামে ফ্ল্যাট বানানোর সুযোগ দিতে হবে। এজন্য সরকারকে বিভিন্ন ছাড় দিতে হবে। অর্থনীতির সূত্রানুসারে কম দামে ফ্ল্যাট পেলে সাধারণ ক্রেতারা কিনতে আগ্রহী হবে। আবাসনখাতের স্থবিরতা কেটে যাবে।
রিহ্যাব এর সহ সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, করোনা ব্যাধির মহামারির সময়ে আবাসনখাতের ব্যবসায়ীরা যেহেতু ফ্ল্যাট বিক্রি করতে পারছে না। তাই আবাসনখাতের ব্যবসায়ীদের টিকিয়ে রাখতে ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ, সুদের হার কমানো বা ব্যাংক ঋণ পরিশোধে সময় বাড়ানো প্রয়োজন। ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকায় যে সব ক্রেতারা কিস্তিতে ফ্ল্যাট কিনেছিল তারাও এখন আর কিস্তি দিতে পারছে না।
আনন্দবাজার/ টি এস পি