ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানের জন্য মিয়ানমার থেকে আনা হচ্ছে ছোলা

পবিত্র রমজানে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে মিয়ানমার থেকে ছোলা আনা হচ্ছে। করোনার কারণে দেশের সব স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও টেকনাফের স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে আনা হচ্ছে এই ছোলা।

টেকনাফ স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে শুধু খাদ্যপণ্য আমদানি হচ্ছে। হিমায়িত মাছের পাশাপাশি পবিত্র রমজান উপলক্ষে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ছোলা আমদানির চেষ্টা চলছে।

আমদানিকারকেরা জানান, গত তিন দিনে কার্গো ট্রলারে টেকনাফ পৌঁছেছে প্রায় ৮০ মেট্রিক টন (১ হাজার ৬০০ বস্তা) ছোলা। শিগগিরই আসবে আরও ১০০ টন। করোনা-আতঙ্কে মিয়ানমারের দোকানপাট বন্ধ থাকায় চাহিদামতো ছোলা আনা যাচ্ছে না।

আমদানিকারকেরা আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে আনা প্রতি কেজি ছোলার দাম পড়ছে ৬৫ টাকা। টেকনাফ বন্দর থেকে ট্রাকে সেই ছোলা চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ পৌঁছাতে খরচ হয় আরও তিন টাকা। তবে টেকনাফ, উখিয়া ও কক্সবাজারের খুচরা বাজারে এই ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।

টেকনাফ পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড ও বড় বাজারের খুচরা বিক্রেতা মোহাম্মদ ফরহাদ, মোহাম্মদ বেলাল বলেন, মিয়ানমারের ছোলা তাঁরা চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আড়ত থেকে কেজি ৭০ টাকায় কিনে টেকনাফ এনে ৭২-৭৫ টাকায় বিক্রি করছেন। টেকনাফ বন্দর থেকে তাঁরা ৬৮ টাকায় ছোলা কেনার সুযোগ পেলে ভোক্তারা লাভবান হতেন।

টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক বিভাগ জানায়, গত কয়েক দিনে তিনজন আমদানিকারক নুর মোহাম্মদ, নুরুল কায়েস ও শওকত আলী চৌধুরী মিয়ানমার থেকে ৮০ মেট্রিক টন ছোলা আমদানি করেন। টেকনাফের আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী মিয়ানমারে কয়েক শ টন ছোলা কিনে রেখেছেন।

আনন্দবাজার/ টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন