ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জ্বালানি তেলের দাম কমলেও সুফল পাবে না বাংলাদেশ

বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও এর সুফল পাবে না বাংলাদেশ। করোনা কারণে দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। ফলে জ্বালানি তেল সংরক্ষণ নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বিপিসি। সেজন্য বিপিসির পাইপ লাইন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও পেট্রোল পাম্পের সংরক্ষণাগারে তেল রাখার পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি।

বিপিসির কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও দেশে তেল সংরক্ষণের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এর সুফল নিতে পারবে না বাংলাদেশ। বিপিসি সাধারণত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আরব লাইট এবং মরবান তেল আমদানি করে থাকে।

গত ২৩ এপ্রিল থেকে বিশ্ব বাজারে এক ব্যারেল আরব লাইট তেলের দাম নেমে এসেছে ১৬.০১ ডলারে। এবং ১৯.০৪ ডলারে নেমে এসেছে মরবান তেলের দাম। যা গত এক মাসের ব্যবধানে কমেছে যথাক্রমে ৪৫ এবং ৫০ শতাংশ।

বিপিসির বিভাগের তথ্য মতে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশে চলমান সাধারণ ছুটির কারণে শিল্প, বাণিজ্য, কৃষি ও পরিবহন খাতে জ্বালানি ৫০ শতাংশ কমে এসেছে। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে প্রতিদিন গড়ে ১৩ হাজার টন ডিজেল ব্যবহার হলেও তা কমে এসেছে ছয় হাজার টনে। অপরদিকে প্রতিদিন বিমানের জেট ফুয়েলের চাহিদা ১২৩৯ মেট্রিক টন থাকলেও তা কমে মাত্র ৮১ টনে নেমে এসেছে। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে পেট্রোল, অকটেন ও কেরোসিনসহ অন্যান্য জ্বালানি তেলের চাহিদা।

বিপিসির সচিব কাজী মোহাম্মদ হাসান বলেন, করোনাভাইরাসের ভয়াবহ প্রভাব ও সংক্রমণ প্রতিরোধে গত এক মাস ধরেই বেশিরভাগ শিল্পকারখানা, পরিবহন আছে। ফলে এসময়ে জ্বলানি তেলের চাহিদা প্রায় ৬৫ শতাংশ কমেছে। ফলে বিপিসি জ্বালানি তেল কিনলেও তা বিপণন করতে না পারায় মজুত বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিপিসি ৫০ শতাংশ সরকার টু সরকার এবং বাকি ৫০ শতাংশ ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয় করে। যার প্রক্রিয়া ৬ মাস আগে থেকেই শুরু হয়। দেশের চাহিদা বিবেচনায় প্রতি মাসে গড়ে পাঁচ লাখ টন থেকে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল ক্রয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

বিপিসির পরিচালক (পরিচালন) সৈয়দ মেহদী হাসান বলেন, জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে যাওয়ায় মজুদ বেড়ে গেছে। এর থেকে উত্তোরণের জন্য বেসরকারি মালিকানাধীন বিভিন্ন পেট্রোলিয়াম প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি পেট্রোল পাম্পেও এসব জ্বালানি তেল সংরক্ষণের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব জায়গায় কী পরিমাণ তেল সংরক্ষণ করা যাবে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা বেশকয়েকটি পেট্রোলিয়াম প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আশা করি খুব শিগগির এ বিষয়টি সমাধান হবে।

আনন্দবাজার/ টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন