বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ১৮ শতাংশ

গত মার্চ মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় কমেছে প্রায় ৬১ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় পাঁচ হাজার কোটি টাকায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, চলতি মাসে রপ্তানি পরিস্থিতি আরো খারাপ অবস্থায় রয়েছে।

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশই আসে গার্মেন্টস সেক্টর থেকে। করোনাভাইরাসের প্রকোপে এখন পর্যন্ত ৩২০ কোটি ডলার বা প্রায় প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ বাতিল ও স্থগিত হয়ে গেছে। এদিকে আগামী মাসগুলোতে তেমন কোনো রপ্তানি আদেশও নেই। ফলে সার্বিকভাবে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত।

বাংলাদেশের বড় রপ্তানি বাজার ইউরোপ ও আমেরিকা করোনার আঘাতে একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এসব দেশের গার্মেন্টস এবং সংশ্লিষ্ট সকল খাতের কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গেছে। যার প্রভাবেই বিশাল ধাক্কা লেগেছে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবে, এই মার্চ মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮ দশমিক ২৮ শতাংশ কমেছে বাংলাদেশের রপ্তানি।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, প্রধান রপ্তানি বাজারে ক্রয়াদেশ দেওয়া পণ্যের পাশাপাশি শিপমেন্টের (জাহাজিকরণ) জন্য অপেক্ষায় থাকা পণ্যও নিচ্ছে না ক্রেতারা। আর আগামী মাসগুলোর জন্য নতুন করে ক্রয়াদেশ তো নেই ই। এ পরিস্থিতি কবে নাগাদ ঠিক হবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফলে কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে রপ্তানিকারকদের। কেননা এর মধ্যে শ্রমিকের বেতনসহ অন্যান্য পাওনা পরিশোধ করতে হবে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  জিডিপি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস গ্রহণযোগ্য নয় : অর্থমন্ত্রী

সংবাদটি শেয়ার করুন