বছরে যে সময়ে তরমুজের ব্যবসা রমরমা থাকার কথা, সে সময়ে বসে বসে ক্রেতা খুজছেন ব্যবসায়ীরা। গেল কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজধানীর প্রায় প্রতিটি ফলের বাজারে দেখা মিলছে মৌসুমি এ ফলটির। দিন বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে মিষ্টি তরমুজের আনাগোনা। দামও কমেছে কিছুটা। তবে তরমুজের মৌসুমে বিক্রি বাড়ার বদলে ক্রেতা খরায় দুঃসময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যাবসায়ীরা জানান, লকডাউন পরিস্থিতির কারণে এ বছর তরমুজের চাহিদা অনেক কম। বিক্রি মন্দাতে ঠেকে যাওয়ায় খারাপ সময় পার করতে হচ্ছে তাদের।
রাজধানীর রায়েরবাগ বাজারের ফল ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, তরমুজের সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে দামও অনেক কমেছে। মাঝারি আকারের প্রতি পিস তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে। দুই সপ্তাহ আগেও যার মূল্য ছিল ২২০ থেকে ২৪০ টাকা পিস। এর চেয়ে কিছুটা ছোট আকারের তরমুজের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা। তবে বড় আকারের তরমুজের দাম বেশিই রয়েছে। প্রতি পিস ২০০ থেকে ২২০ টাকা। দেড় সপ্তাহ আগে যেগুলোর দাম পিসপ্রতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা বেশি ছিল। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে সামনে দাম আরও কমবে বলে জানান তিনি।
ব্যবসায়িক মন্দার কথা জানালেন রাজধানীর বাবুবাজারের তরমুজের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. জাফর আলীও। তিনি জানান, রাজধানীতে যত তরমুজ পাওয়া যায় তার বেশীর ভাগ অংশই আসে পটুয়াখালী থেকে। চলতি বছরও এ অঞ্চল থেকে সন্তোষজনক হারে তরমুজ আসছে। তরমুজের ফলন এবার ভালো হয়েছে। কিন্তু করোনার প্রকোপে আমরা ব্যবসায়ীরা পথে বসেছি। বেচাকেনা অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে। ক্রেতা না থাকলে তরমুজ আমরা কী করব।
আননাবাজার/শাহী