করোনা মহামারী থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হিসেবে শুরু হয়েছিল লকডাউন। তাতে জীবন রক্ষা পেলেও মানুষের জীবিকা গেছে থমকে। তাই পরিস্থিতি বুঝে ধীরে ধীরে অবরুদ্ধ অবস্থা শিথিল করছে অনেক দেশ।
সবার আগে লকডাউনে যাওয়া চীনের উহান শহরের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক বলা চলে। শহরটি থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে লকডাউন। মহামারীতে বিপর্যস্ত ইউরোপের দেশ ইতালি ও স্পেন মাস গড়ানোর পর লকডাউন শিথিল করেছে। সেই পথে হাঁটছে অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, পোল্যান্ড আর জার্মানিও।
আড়াই মাস লকডাউন ছিল চীনের উহানসহ হুবেই প্রদেশ। সংক্রমণ শূন্যের কোটায় চলে যাওয়ার পর গেল ২৮শে মার্চ লোকজনের চলাচলে বিধি-নিষেধ তুলে নেয় চীন সরকার। ফলে এখন আবার আগের মতো আবারো মেট্রোতে যাতায়াত করতে পারছেন বেশিরভাগ উহানবাসী, অন্য প্রদেশে যেতেও এখন তাদের আর নেই বাধা।
চীনের পর করোনার তাণ্ডব সামলাচ্ছে ইউরোপের দুই দেশ ইতালি আর স্পেন। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেছে এই দুই দেশ। মৃত্যুর হার কমে আসায় এক মাসের বেশি সময় পর লকডাউন শিথিল করেছে স্পেন। খুলে দেয়া হয়েছে রাস্তাঘাট, শিল্প কারখানাগুলো। তবে দোকানপাট, বার, রেস্তোরাঁসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রেখেছে স্পেন সরকার।
টানা পাঁচ সপ্তাহ পর লকডাউন শিথিল করেছে ইউরোপের দেশ ইতালি। খুলছে বই, মনোহারী ও শিশুদের জামা-কাপড়ের দোকান। কম্পিউটার সরঞ্জাম ও কাগজের দোকানও খুলে দিয়েছে প্রশাসন। তবে যেসব শহরে করোনা পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জক নয় সেগুলোতে জারি রাখা হয়েছে লকডাউন। আবার দেশটির উত্তরাঞ্চলের মহামারী-কেন্দ্র বলে চিহ্নিত লোমবার্দির মত বেশ কিছু শহরে বিধি-নিষেধ সামান্য শিথিল করা হয়েছে।
অস্ট্রিয়ায় শিথিল করা হয়েছে লকডাউন। তবে দেয়া হয়েছে কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি মানার শর্তে। খুলেছে ছোট ছোট দোকানপাট। মে মাসের শুরুতে বড় দোকান, শপিং সেন্টার, রূপচর্চাকেন্দ্র আর মাঝামাঝিতে হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলে দেয়ার চিন্তা করছে দেশটির সরকার।
শিশুদের জন্য স্কুল খুলে দিতে যাচ্ছে ডেনমার্ক। আগামী সপ্তাহে লকডাউন তুলে দিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড আর শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিবেশি জার্মানি। প্রাইমারি স্কুলগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান সরকার। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধান বহাল থাকছে ৩রা মে পর্যন্ত।
আনন্দবাজার/শহক