রোজার মাস সামনে রেখে দফায় দফায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। ১০ দিনের ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম অন্তত তিন দফা বেড়েছে। এতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে আবারও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে দাম আরও বেড়ে যাবে। রমজানে পেঁয়াজের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক থাকলেও ইতিমধ্যে অনেকে রোজার কেনাকাটা শুরু করেছেন। ফলে পেঁয়াজের চাহিদা বেড়ে গেছে। এই ফাঁকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কমিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। সামনে পেঁয়াজের চাহিদা আরও বাড়বে। সুতরাং দাম আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে চলতি বছরের মার্চের শুরুতে রফতানি বন্ধের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত। ফলে দেশের বাজারে দফায় দফায় কমতে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। কয়েক দফা দাম কমে পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকায় নেমে আসে।
কিন্তু করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে আবার বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। ৪০ টাকার পেঁয়াজ এক লাফে ৮০ টাকায় উঠে যায়। এ পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে ভোক্তা অধিদফতর ও র্যাব। পেঁয়াজের বাজারে চলে একের পর এক অভিযান। এতে আবারও দফায় দফায় দাম কমে পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকায় নেমে আসে।
তবে ভোক্তা অধিদফতর ও র্যাবের অভিযান বন্ধ হওয়ায় আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। রমজানকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের এই দাম বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আনন্দবাজার/তা.তা