করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্বাধীনতা দিবস এবং পহেলা বৈশাখের সকল অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ফুল চাষীরা। গত অর্থবছরে যেখানে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছিল, সেখানে এখন বন্ধ হয়ে গেছে ফুল বেচাকেনাই।
যশোরের ফুল চাষী লিয়াকত আলী জানান, তিনি সাত বিঘা জমির মধ্যে বিভিন্ন রকমের ফুল চাষ করেছেন। এ ফুল চাষ করতে তার এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে পাঁচ লাখ থেকে ছয় লাখ টাকা। এখন ক্ষেতের মধ্যেই ফুল পচে পচে শুকিয়ে যাচ্ছে। মার্চ মাস থেকে ফুল বিক্রি করতে না পারায় তার তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।
শাহবাগের ফুল ব্যবসায়ী জানান, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় ফুল বিক্রি বন্ধ রয়েছে। প্রতিটি ফুলের দোকানে ৪-৫ জন করে ফুলের কারিগড় রয়েছে, দোকান বন্ধ থাকলেও তাদের বেতন দিতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি’র সভাপতি মো. আব্দুর রহিম বলেন, প্রতিদিন ফুল কেটে খুচরা বিক্রেতাদের দ্বারা বাজারজাত করতে হয়, না হলে জমিতে নষ্ট হয়। গত ১৮ মার্চ থেকে এই পর্যন্ত ফুল চাষিরা কোনো ফুল বিক্রি করতে পারেনি। গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও পহেলা বৈশাখ এ দুইটি অনুষ্ঠানে চলতি মৌসুমে ফুল বিক্রি না হওয়ায় চাষীদের প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস