আগামী এক মাসের মধ্যে দেশে চালের বাজারে ফিরবে স্বস্তি এমনটাই ধারণা করছেন মিল মালিক, ব্যবসায়ী ও কৃষি বিশ্লেষকরা । এদিকে বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে নামতে শুরু করবে বোরো ধান। আর সেসব ধান প্রক্রিয়াজাত হয়ে মিলগুলোতে আসতে লাগবে আরো সপ্তাহখানেক। যার ফলে দেশে নতুন ধান আসতে শুরু করলেই চালের দাম কিছুটা শুরু করবে।
এদিকে দেশের মোট চালের বেশির ভাগ পূরণ হয় এই বোরো মৌসুম হতে, যা আসতে শুরু করে বৈশাখ মাস থেকে। দেশের বিভিন্ন হাওরাঞ্চলের এই ধানের সবচেয়ে বেশি ফলন হয়ে থাকে। এই বছর ভালো ফলনের আশাও করছেন কৃষকরা। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বোরো ধানেরও একই অবস্থা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী,২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট আউশ, আমন ও বোরো মিলে প্রায় তিন কোটি ৮৭ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।যার বেশির ভাগই পূরণ করবে বোরো ধান হতে। চলতি বছর প্রায় দুই কোটি চার লাখ ৩৬ হাজার টন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, যা মোট উৎপাদন লক্ষ্যের ৫৩ শতাংশ।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশে এ বছর চাহিদার তুলনায় চাল উদ্বৃত্ত হওয়ায় বাড়তি চালের কিছু অংশ রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। এজন্য ১৫ শতাংশ ভর্তুকিও ঘোষণা করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দাম বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার। বাজারে বর্তমানে চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন জানান, ‘লেবার ক্রাইসিস (শ্রমিক সংকট), ধানের সংকট, পে-অর্ডারের সমস্যা ও পরিবহন সংকটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চালের বাড়তি চাহিদা। ফলে চালের দাম বেড়ে গিয়েছে। তবে এ দাম বেশি দিন থাকবে না। আসছে বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে হাওর ও নিচু অঞ্চলগুলোতে ধান মাড়াই শুরু হয়ে যাবে। তখনি দাম কমে যাবে।’
আনন্দবাজার/ শহক