ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনায় বিপাকে কাঁচা পণ্য উৎপাদক

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে বিশাল আকারের সংকটের মুখে পড়েছে পচনশীল খাদ্য পণ্যের উৎপাদক ও ব্যবসায়ীরা। সরকারি নির্দেশনায় পচনশীল খাদ্যপণ্য পরিবহন নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হলেও তাদেরকে পণ্য বাজারজাত করতে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় জেলা শহর থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা সবজি কেনার জন্য আসতে পারছেন না।ফরিদপুর জেলার কানাইপুর উপজেলার শোলাকুন্ডু গ্রামের সবজি চাষিরা অর্ধেক দামেও তাদের সবজি বিক্রি করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে এক সবজি চাষী জানান, বাজারে পণ্য দেয়ার পর দেখি লোকজন নাই। দাম একেবারে অর্ধেকে নামছে। ছয়শ টাকার মাল বেচলাম তিনশ টাকায়। গরমকালে সবজি বেশিদিন রাখাও যাবেনা, পচে যাবে।

এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তরল দুধ উৎপাদকরাও বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়েছে। কেননা সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে সকল প্রকার রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখতে হবে।কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন এই রেস্তোরাঁর আওতায় মিষ্টির দোকানগুলোও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। যার একটা বড় প্রভাব পড়েছে তরল দুধ বাজারে। দেশে উৎপাদিত মোট দুধের প্রায় ৮৪% বিভিন্ন মিষ্টি দোকানে ও বাসাবাড়িতে সরবরাহ করা হয়।

এখন এই মিষ্টির দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২০ থেকে ১৫০ লাখ লিটার দুধ অবিক্রীত অবস্থায় থেকে যাচ্ছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৫৭ কোটি টাকা।

আনন্দবাজার/তা.তা

সংবাদটি শেয়ার করুন