ঢাকা | বুধবার
২৬শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় বন্ধ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় উত্তরা ইপিজেড

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। এ ভাইরাস দমনে এখন পর্যন্ত কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মতে আপাতত জনসমাগম এড়িয়ে চলাই এ রোগ প্রতিরোধের উপায়। এতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে নীলফামারী’র উত্তরা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল  রয়েছে এখানো চালু। ফলে সমাগম হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের।

বুধবার (২৫ মার্চ) সকালে জেলার সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নে অবস্হিত উত্তরা ইপিজেডে গিয়ে দেখা যায় কর্মরত শ্রমিকরা দলবেঁধেই কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি সতর্কতামূলক কোনো উদ্যোগ। তাদের এ জনসমাগম থেকে করোনার সংক্রমণ ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইপিজেডের মূল প্রবেশ পথে দেখা যায়, ইপিজেড কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা বাজারের দোকানগুলো বন্ধ থাকলেও পূর্বের মতোই নারী-পুরুষ শ্রমিকরা সাইকেল,মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা করে দলবেধে আসছেন, ইপিজেডের প্রবেশ করছেন একে অপরের গায়ে ঘেঁষে। ন্যূনতম দূরত্বও বজায় রাখছেন না শ্রমিকরা।

এভারগ্রীন প্রোডাক্ট বিডি লিমিটেড কোম্পানিতে কাজ করেন একজন জানান, ‘আমরা গরীব মানুষ, পেটের দায়ে চাকরি করছি হঠাৎ করোনা ভাইরাসের মহামারি শুরু হওয়ায় বেশ চিন্তায় আছি। ছুটি না দিলে কিছু করার নেই।’

শিল্প-কারখানা বন্ধে সরকারি কোন সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে উত্তরা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘এই মুহূর্তে প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি বন্ধের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতা রয়েছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান লে-অফ (শ্রম আইন অনুযায়ী অর্ধেক বেতন অগ্রিম প্রদান করা সাপেক্ষে শ্রমিকদের ছুটি প্রদান) করার পরিকল্পনা করছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে চালু রাখার পরিকল্পনায় আছে।’

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে ২১৩ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত উত্তরা ইপিজেডে দেশী-বিদেশি ১৮ টি কোম্পানিতে প্রায় ৩৪ হাজার শ্রমিক কাজ করেছেন। করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের নিয়ন্ত্রিত চারটি কোম্পানির প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক কাজ করেন।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন