ঢাকা | মঙ্গলবার
১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় ধানের দাম দ্বিগুণ

করোনায় ধানের দামে বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। গত দুই মাস আগেও যে ধান ৬০০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে সে ধান এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১০৫০ টাকায়। এরপরও মিলছে না পর্যাপ্ত ধান।

শুধু করোনার কারণে নয়, পঙ্গপালের খবরও বেড়েছে ধানের দাম। ভারতে পঙ্গপাল শস্য খেয়ে শেষ করে ফেলছে। বাংলাদেশেও আসবে— এমন গুজবে অনেক গৃহস্থ ধান বিক্রি করছেন না।

শেরপুর মিলকল মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, আজ সোমবার চালের দাম কেজিপ্রতি কমেছে দুই টাকা। সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে, ধানের দামও কমতে শুরু করেছে, আরও কমে আসবে।

ধুনট উপজেলার চরপাড়া গ্রামের আদর্শ কৃষক আকিমুদ্দিন শেখ বলেন, গৃহস্থের ঘরে এখন আর ধান নেই। যাদের ঘরে আছে সেটাও ২৫-৩০ মণের বেশি নয়। সব ধানই তো এখন মহাজনের ঘরে বা সরকারের গুদামে। তারা ধান ছেড়ে দিলে তো ধানের দাম ১০০০-১২০০ টাকা থাকে না।

একই গ্রামের চাল ব্যবসায়ী জমির মিয়া বলেন, গত এক সপ্তাহের মধ্যে ধানের দাম এত বেড়েছে যে কল্পনাই করা যায় না। এক থেকে দেড় মাস আগে যে গুটি স্বর্ণা ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় কিনতাম, সে ধান এখন ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। স্বর্ণা- ৫ ও ৪৯ ছিল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকার মধ্যে। এখন সেটা ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা। কাটারি ভোগের (ধুনট শেরপুর উৎপাদিত) দাম ছিল ৯০০ টাকা, সেটা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকায়।

গতকাল রোববার ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের চাল বেশি দামে বিক্রি না করার নির্দেশ দেন। ব্যবসায়ীরা এ সময় তাকে জানান, বেশি দামে ধান কিনে কম দামে চাল বিক্রি করলে তারা টিকে থাকতে পারবেন না।

এই সময় তিনি আরও বলেন, প্রশাসন বেশি চাপ দিলে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া ছাড়া কোনো গতি থাকবে না। কারণ ৬০০ টাকার ধানের মণ এখন ১০০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ৯০০ টাকার ধান হয়েছে ১৩০০ টাকা। এ দামে ধান কিনে আগের দামে চাল বিক্রি করা সম্ভব নয়।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন