ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি করার উদ্যোগ নেন। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় আমদানিকারকদের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (ইমপোর্ট পারমিট) চেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আপাতত আট হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির আইপি ইস্যু করা হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন জানান, পাঁচ মাস ধরে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছিল ভারত। যে কারণে দেশটি থেকে পণ্যটির আমদানি পুরোপুরি বন্ধ ছিল। অবশেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্যমান এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। মার্চের শুরুতে হিলির কয়েকজন আমদানিকারক ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করতে কৃষি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।
মোবারক হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দরের ৫ আমদানিকারক ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করতে প্রয়োজনীয় আইপি পেয়েছেন। তারা সব মিলিয়ে ৮ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। সবাই ফেব্রুয়ারিতেই আইপি চেয়ে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে আবেদন করেছিলেন। তবে মার্চে যেসব আমদানিকারক আবেদন করেছেন, তাদের আইপি ইস্যু করা হয়নি।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের রোগতত্ত্ববিদ মাহামুদুল হাসান মুসা বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য দেশীয় আমদানিকারকদের আইপির প্রয়োজন হয়। তারা অনলাইনে আবেদন করেন। ঢাকা থেকে আইপি ইস্যু হয়। স্থানীয় অফিসের মূল কাজ হলো আমদানি করা এসব পেঁয়াজ যাচাই-বাছাই করা। আইপি ঠিক থাকলে আমদানি করা পেঁয়াজ পরীক্ষা করে দ্রুত ছাড় করে দেব।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস