চির সবুজের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি পিরোজপুর, জেলায় মাঝে অভিরাম বয়ে চলেছে সন্ধ্যা নদী । এর তীর ঘেঁষা স্বরুপকাঠির ছোট্ট একটি শহর। বহু প্রাচীন এ শহরের নদীর পাড়েই দেশের সবচেয়ে বড় কাঠের মোকাম। সন্ধ্যা নদীর পূর্ব পাড়ে স্বরুপকাঠির শীতলা খালের মোহনায় বিশাল এলাকা জুড়ে চলে কাঠের এ বাণিজ্য।
এক সময়ে সুন্দরীকাঠের বিশাল বাজার হিসাবে পরিচিত পিরোজপুরের স্বরুপকাঠি (নেছারাবাদ) এখন দেশীয় গ্রামীণ কাঠের সর্ববৃহৎ ভাসমান বাজার।গোল কাঠ বিক্রির জন্য নিয়ে পিরোজপুর জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার ছোট ও মাঝারি কাঠ ব্যাবসায়ীরা আসেন এই বাজারে আর সেই কাঠ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে নৌ-যোগে এবং ট্রাকের মাধ্যমে চলে যায় রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। ভাসমান এ কাঠ বাজারে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার কাঠ বেচাকেনা হয় ব।কালের বিবর্তনে দেশীয় কাঠের ব্যবসা শুরু করে এখানকার ব্যবসায়ীরা। যা ধীরে ধীরে রূপ নেয় দেশের সর্ববৃহৎ ভাসমান কাঠের বাজারে।
সন্ধানদী এবং সীতলা খালের চরে জেগে ওঠা স্বরুপকাঠি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মুক্তিযোদ্ধাচরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি ব্যবসায়িক বলয়। বরিশাল ও খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় হাজার হাজার ব্যবসায়ী কাঠ বিক্রি করেন ওই চরে। চরের কেনা কাঠ চেরাই করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলার হাটবাজারে নিয়ে বিক্রি করা হয়।
ব্যবসা-বাণিজ্য সমৃদ্ধ এ উপজেলাটি গোটা দেশে ব্যাপক পরিচিতি পেলেও কিছু অসাধু ব্যাক্তির পদচারণায় বর্তমানে ব্যবসায়ীদের দুর্দিন যাচ্ছে।
সন্ধ্যার নদীর ওপারেও আরেকটি ছোট শহর ইন্দেরহাট। এখানেও চলে কাঠের জমজমাট ব্যবসা। নদীর মধ্যে বড় বড় নৌকা বোঝাই কাঠ আর কাঠ। কখনও কখনও নানান রকম গাছ পানিতে ভাসিয়েও রাখা হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঠ ব্যবসায়ীরা এখানে আসেন কাঠ কিনতে। বড় বড় কার্গো জাহাজ বোঝাই করে সেসব কাঠ পাঠিয়ে দেওয়া হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে।
দেশের সর্ববৃহৎ কাঠের বাজার স্বরুপকাঠিতে একটি ট্রাক লোড পয়েন্ট নির্মাণ করা হলে বাড়বে ব্যবসার প্রসার, কমবে কাঠের মূল্য ও পরিবহন খরচ, বাঁচবে সময়। তাই সরকারের কাছে একটি ট্রাক লোড পয়েন্টের দাবী স্বরুপকাঠির কাঠ ব্যবসায়ীদের।
আনন্দবাজার/এফআইবি