ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে ৩ ব্যাংকের বিশেষ তহবিল গঠন

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে বিশেষ তহবিল গঠন করেছে সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যক তিন ব্যাংক। তিনটি ব্যাংকের প্রত্যেকটি (ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক) নিজস্ব উৎস থেকে ২০০ কোটি টাকা করে বিশেষ তহবিল গঠন করছে। এতে আস্থাহীন শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগে যে সংশয় ছিল, তার অবসান ঘটবে।
এর আগে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দিয়ে সার্কুলার জারি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তার এক মাসের মাথায় ব্যাংক তিনটি এ তহবিল গঠন করলো।
গত রোববার (৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, তিন ব্যাংকই তাদের নিজস্ব অর্থায়নে বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। এছাড়াও আরও পাঁচটি ব্যাংক তহবিল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করছে। সেগুলো হচ্ছে-ন্যাশনাল ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংক।
এদিকে ধারাবাহিক দরপতন ঠেকাতে ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ হিসাবে গত ১০ ফেব্রুয়ারি এক সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ওই সার্কুলারে বলা হয়, কোনো ব্যাংক নিজস্ব উৎস থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে। তবে চাইলে এ তহবিল গঠনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপোর মাধ্যমে ৫ শতাংশ সুদে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর মেয়াদি ঋণ নিতে পারবে। তবে মেয়াদ ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারির বেশি নয়। কোনো ব্যাংক এ সার্কুলারের আওতায় গঠিত তহবিল থেকে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৮০ কোটি টাকা পর্যন্ত নিজে বিনিয়োগ করতে পারবে। বাকি ৬০ শতাংশ ওই ব্যাংকের শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট সহযোগী ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকসহ অন্য ব্যাংকের স্বতন্ত্র ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংককে ঋণ দিতে পারবে।
তহবিল থেকে বিনিয়োগ ব্যাংক কোম্পানির আইন অনুযায়ী কোনো ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সীমা সংক্রান্ত বিধান পালন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে। তবে বিনিয়োগের শর্ত দেয়া হয়েছে গঠিত তহবিলের অন্তত ১০ শতাংশ মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে, যেসব ফান্ডে বিনিয়োগ করা যাবে, যেগুলো বিগত তিনবছর ধরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে। শেয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে টানা তিনবছর ধরে অন্তত ১০ শতাংশ হারে লভ্যাংশ প্রদান করছে এমন কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করার শর্ত দেয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার/তা.তা

সংবাদটি শেয়ার করুন