গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উঁচু চালা জমিতে, সড়কের ধারে অনেকটা অবহেলায় বিচ্ছিন্ন ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতো ‘টক বরই’ গাছ। নানা কারণে কৃষক আগাছা হিসেবে মনে করতো এ ধরনের বরই গাছকে। তবে টক বরইয়ের বাণিজ্যিক ব্যবহার বাড়ায় এখন কৃষকের আগ্রহ তৈরী হয়েছে এই টক বরইকে কেন্দ্র করে। তারা বানিজ্যিক ভাবে শুরু করেছে টক বরই চাষ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্যমতে, জেলাজুড়ে এবার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বরই চাষ হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুর সদরে ৩৭০ হেক্টর, শ্রীপুরে ২১৫ হেক্টর, কাপাসিয়ায় ৮৫ হেক্টর, কালিয়াকৈরে ৫৫ হেক্টর এবং কালিগঞ্জে ২৫ হেক্টর জমিতে বরইয়ের চাষ হয়েছে। বরইয়ের উৎপাদন হয়েছে ১১ হাজার ৩৯৭ মেট্রিকটন।
কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের নলগাঁও গ্রামের শহীদ শিকদার এবার পাঁচ বিঘা জমির ২০০ গাছের টক বরই বিক্রি করেছেন ২ লাখ ৬১ হাজার টাকায়।তিনি জানান, আগাম বরই উৎপাদনের লক্ষ্যে পাঁচ বছর আগে তার বাগানের বরই গাছে বিলুপ্তপ্রায় দেশি প্রজাতির টক বরইয়ের কলম করেন। এতেই শুরু হয় তার সফলতা। এখন সবাই টক বরই চাষে ঝুঁকছেন।
গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মাহবুব আলম জানান, জেলা জুড়ে বসত বাড়ির আশপাশে ফেলে রাখা পতিত জমিতে ব্যাপকভাবে বরই চাষ হচ্ছে। বরই গাছে কলম করে কৃষকেরা সহজেই জাত পরিবর্তন করতে পারে। বানিজ্যিক ব্যবহার বাড়ায় ভালো দামে কৃষক লাভবান হচ্ছেন, এতে গ্রামীন অর্থনীতিও সাবলম্ভী হয়ে উঠছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/এম এ