পেঁয়াজের মূল্য কমতে না কমতেই আবারও কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। গেল সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও তা সপ্তাহ শেষে আবার ৭০ টাকায় উঠে এসছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে আমদানিকৃত পেঁয়াজে।
তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এখন দেশি পেঁয়াজের মৌসুম চলছে। সাধারণত প্রতি বছর মৌসুমের সময় পেঁয়াজের কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় নেমে আসে। তবে এবার তা হচ্ছে না কেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, পেঁয়াজ চাষিদের ন্যায্যমূল্য দেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানি করতে চাচ্ছে না। এছাড়াও গেল বছর কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বিপাকে পড়ে স্বল্প আয়ের মানুষ। হু হু করে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায় উঠে যায়। এ কারণে কৃষি মন্ত্রণালয় চায়, বাংলাদেশ যেন পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বাবলম্বী হয়। তবে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ও আমদানির পরিমাণ হিসাব করলে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বাবলম্বী হতে সময় লাগবে।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ার সাথে বাড়ছে আমদানিনির্ভরতাও। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৫ লাখ ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৭ লাখ ২৪ হাজার টন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৯ লাখ ৮৭ হাজার টন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৮ লাখ ৬৩ হাজার টন এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১০ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয়। দেখা যাচ্ছে পাঁচ বছরের ব্যবধানে আমদানি বেড়েছে দ্বিগুণ পরিমান।
অথচ দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ২০ ভাগ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ১৯ লাখ ৩০ হাজার টন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২১ লাখ ৩০ হাজার টন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২১ লাখ ৫৩ হাজার টন, ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ উভয় অর্থবছরে ২৩ লাখ ৩০ হাজার টন করে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। আর এ অবস্থায় আমদানি করে চাহিদার একটি বড়ো অংশ মেটাতে হয়।
আনন্দবাজার/এম.কে