ঢাকা | বুধবার
১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বারি পেঁয়াজ-৫ দূর করবে পেঁয়াজের সংকট

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র উদ্ভাবিত বারোমাসি বারি পেঁয়াজ-৫ চাষ করে দূর হবে পেঁয়াজের সংকট। অধিক উৎপাদনশীল এই পেঁয়াজ চাষ করে আগামী এক বছরেই সংকট দূর করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা।

খাগড়াছড়িতে পরীক্ষামূলক পেঁয়াজ চাষে সাফল্য দেখে এমন মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এমন সফলতায় খুশি শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি জোর দিয়েছেন বারি পেঁয়াজ-৫ খাগড়াছড়ির পাহাড়-সমতলের মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর ।

২০০২ সালে উন্নত জাতের এই পেঁয়াজ উদ্ভাবন করে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন তৎকালীন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) সরেজমিন বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাব্বত উল্ল্যা। তার উদ্ভাবিত বারি পেঁয়াজ-৫ জাত গ্রীষ্মকালীন হিসেবে উদ্ভাবন হলেও শীত, গ্রীষ্মে যে কোনো ধরনের মাটিতেই উৎপাদন হয়ে থাকে। ২০১১ সালে খাগড়াছড়িতে পাহাড় চূড়ায় এই পেঁয়াজের সফল পরীক্ষা চালানো হয়।

এই পেঁয়াজের উদ্ভাবক বর্তমানে অবসরে থাকা ড. মহাব্বত উল্ল্যা বলেন, ২০০৮ সালে পেঁয়াজটির জাত মুক্তায়িত করার পর তৎকালীন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পদক্ষেপ নিলেও অজ্ঞাত কারণে দীর্ঘ ১২ বছরেও তা মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পেঁয়াজের সংকট মোকাবিলায় পেঁয়াজ বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ এবং মাঠে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া দরকার।

তিনি আরো বলেন, যেহেতু এই জাতটি যে কোনো ল্যান্ড টাইপে (যে কোনো ধরনের ভূমি) করা যায় এবং জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের ২০ তারিখ পর্যন্ত চাষাবাদ করা সম্ভব; সেহেতু দেশে বর্তমানে ৮-১০ লক্ষ টন ঘাটতি মোকাবিলায় এ জাতটি বিশেষভাবে উপযোগী।

 

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন