নাগরিক জীবনে কর্ম ব্যস্ততায় মানুষের জীবন এখন অনেক বেশি গতিশীল। আর তাই অবসর সময়টুকু মানুষের কাছে এখন অনেক বেশি মূল্যবান। বর্তমানে মানুষ সময়ের ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন। সেখানে প্রতিদিন বাজার থেকে ফল বা সবজি ক্রয় করাটা কঠিন ব্যাপার। ফলে অধিকাংশ মানুষই সপ্তাহের যেকোনো দিন নিজেদের সুবিধামত নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার একত্রে ক্রয় করে থাকেন।
আবার কেনার পর সেগুলো ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখেন অনেকেই। কিন্তু সঠিক নিয়ম অনুসরণ না করার ফলে খাবার নষ্ট হয়ে যায়। তবে কয়েকটি উপায় মেনে খাবার সংরক্ষণ করলে যেকোনো খাবার বেশি দিন টাটকা ও তরতাজা রাখা যায়। তাহলে জেনে নিন এমন কিছু উপায় যেগুলো মেনে চললে আপনার খাবার থাকবে সতেজ ও সুস্বাধু।
আলু-পেঁয়াজ-রসুন: আলু, পেঁয়াজ আর রসুন কখনও একসঙ্গে রাখবেন না, এতে করে এগুলো তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। আলু ঝুড়িতে ভরে খাট বা সোফার তলায় রাখুন। কোনও কোনও ফ্রিজে আলাদা করে আলু রাখার ক্রেট বা খাপ থাকে। পেঁয়াজ রসুন সাধারণত ভাল থাকে কাগজের ব্যাগে। তবে সেগুলো রাখার আগে কাগজের ব্যাগের গায়ে অবশ্যই বেশ কয়েকটা ফুটো করে খোলা জায়গায় রাখুন তাহলে স্বাভাবিক বাতাস চলাচল করবে, তাতে পেঁয়াজ-রসুন বেশি দিন ভাল থাকবে।
টমেটো: টমেটোকে একটা কাঠের ট্রেতে রাখুন। অবশ্যই বোঁটার দিকটা নীচের দিকে করে রাখবেন। আবার বাহিরে খোলা জায়গায় ঝুড়িতে করেও টমেটো রাখতে পারেন।
ফল: আপেল, কলা, লেবুর মতো ফল একসঙ্গে না রাখাটাই ভালো। প্রতিটি আলাদা আলাদা ঝুঁড়িতে রাখলে বেশি দিন টাটকা থাকবে।কলা একটু কাঁচা বা সবুজ অবস্থায় কিনে কাঁদি থেকে বাদ না দিয়ে গোড়ার দিকটা ফয়েল পেপারে মুড়ে রেখে দিন। তাতে কলা একটুও খারাপ হবে না।
শাক: শাক টাটকা রাখতে চাইলে বাড়িতে নিয়ে আসার পরে পানিতে ধোয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। বরং ঝুড়িতে ভরে অন্ধকার অথচ বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় রাখুন। তবে রান্না করার আগে ধুয়ে নিলেই হবে।
কাঁচা মরিচ: বায়ুরুদ্ধ কোনো পাত্রে কাঁচা মরিচ রাখা উচিত। তারপর সেই পাত্রটি একটি নরম কাপড়ের ওপরে রেখে দিন। এভাবে রাখলে মরিচ নষ্ট হয় না। ফ্রিজে রাখতে চাইলে অ্যালুমিনিয়াম পাত্রে রাখুন তাহলে আরও ভাল ফল পাওয়া যাবে।
আনন্দবাজার/টিএস