রাগ মানুষের স্বাভাবিক একটা আবেগ। নিজের অপছন্দের কিছু ঘটলে রাগ উঠে যেতে পারে যে কারোরই। রাগ ওঠা পর্যন্ত ঠিক আছে তবে সে রাগ যদি চলে যায় নিয়ন্ত্রনের বাইরে, তাহলে সেটা হতে পারে আপনার জন্য অনেক ক্ষতিকর। রাগের বাহ্যিক প্রকাশটা যেমনই হোক না কেনো- শরীর, মন ও সম্পর্কের ওপর এর প্রভাব সবসময়ই ধ্বংসাত্বক।
তবে এখন প্রশ্ন উঠতে পারে রাগকে কি প্রশ্রয় দেওয়া উচিত? উত্তর হচ্ছে, না।
মনোবিজ্ঞানী কিলান বলেন, রাগ দমানোর সাধারণ উপায় হল উগ্র আচরণ। তবে গবেষণা বলে এই উগ্র আচরণ রাগ কমায় না বরং আরও বাড়ায়। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে সামান্য রাগে উগ্র আচরণের আশঙ্কাও বাড়ায়। এই উগ্র আচরণের কারণে পরিবার, বন্ধু, সহপাঠী, সহকর্মীদের সঙ্গে আপনার সম্পর্কের যে ক্ষতি হবে তা সবাই অনুধাবন করতে পারছেন।
আরো পড়ুনঃ সম্মানি ফিরিয়ে দিবেন রজনীকান্ত
অতিরিক্ত রাগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন আপনি অথবা আপনার কাছের কেউ। এমনকি অতিরিক্ত উত্তেজিত হওয়ার কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হতে পারে মৃত্যুও।
রাগ সামলানোর একটি মোক্ষম উপায় হতে পারে রাগের কারণটা নিয়ে আলোচনা করা। কোনো কিছু পছন্দ না হলে তা মুখ ফুটে বলা অত্যন্ত মুল্যবান। কারণ প্রতিবাদই ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করার সুযোগ তৈরি করে। পাশাপাশি প্রতিদিন যে বিরক্তিগুলো আপনার মেজাজ খিটখিটে করে তোলে সেগুলোও আমলে নিতে হবে, সামলাতে হবে।
যখন রাগের কারণ ব্যাখ্যা করবেন মনযোগ দিতে হবে রাগ সৃষ্টিকারী ঘটনা এবং তা আপনাকে কেনো রাগান্বিত করছে সেই বিষয়গুলোর ওপর। যার ওপর রাগ হয়েছে তার ব্যক্তিগত দিকগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। দুর্ব্যবহার, গালাগালি থেকে বিরত থাকতে হবে। এক ঘটনা দিয়ে পুরো মানুষটাকে বিচার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
আনন্দবাজার/ টি এস পি