ঢাকা | সোমবার
৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়ে দ্বিগুণ

বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দেয়। এই এক দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতাও যেমন বেড়েছে তেমনি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যাও বেড়ে হয়েছে পাঁচগুণ। তবে এর মাঝে বেশকিছু কেন্দ্র ছিল বেসরকারি খাতের উচ্চ ব্যয়ভিত্তিক ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলচালিত। রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল এসব কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ উচ্চ। কাজেই এক দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।

এক দশকে বিদ্যুতের দাম গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ানো হয়েছে মোট ৯ বার। এতে গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহ করা বিদ্যুতের গড় দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সর্বশেষ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত দাম কার্যকর হচ্ছে আজ থেকে। যদিও গত এক দশকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) লোকসান গুনতে হয়েছে প্রায় ৫৬ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। আর বিদ্যুৎ খাতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়েছে ৫২ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।

নতুন মূল্যহার কার্যকরের ফলে সাধারণ গ্রাহককে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম গুনতে হবে চার টাকা ১৯ পয়সা। এছাড়া ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট পাঁচ টাকা ৭২ পয়সা, ২০১ থেকে ৩০০ পর্যন্ত ইউনিটের জন্য ছয় টাকা ও ৩০১ থেকে ৪০০ পর্যন্ত ইউনিটের জন্য ছয় টাকা ৩৪ পয়সা হারে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া ৪০১ থেকে ৬০০ পর্যন্ত ইউনিটের জন্য ৯ টাকা ৯৪ পয়সা ও ৬০০ ইউনিটের ওপরে প্রতি ইউনিটে ১১ টাকা ৪৬ পয়সা হারে বিল গুনতে হবে।

সর্বশেষ গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের গড় মূল্যহার পাঁচ দশমিক তিন শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এতে গড় মূল্যহার দাঁড়িয়েছে সাত টাকা ১৩ পয়সা।

উল্লেখ্য, গত এক দশকে গ্রাহক পর্যায়ের পাশাপাশি বাল্ক মূল্যহারও সাতবার বাড়ানো হয়েছে। এরপরও প্রতি বছর বড় অঙ্কের লোকসান দিচ্ছে পিডিবি। আবার তা ভর্তুকি দিয়ে পূরণ করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার/তা.তা

সংবাদটি শেয়ার করুন