বিশ্বমন্দা ও প্রতিযোগিতার মুখে ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর প্রবণতা দেখা গেলেও চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত এ খাতে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।
গত এক বছরে নিট ও ওভেন পোশাকের কারখানা বন্ধ হয়েছে ১৪৩টি ও কর্মচ্যুত হয়েছেন ৭৩ হাজার কর্মী। চীনে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে পোশাক শিল্পের কাঁচামাল আমদানি। কাঁচামাল সংকটের কারণে নেয়া যাচ্ছে না বিদেশী বায়ারদের সেল অর্ডারও।
গতকাল বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) চট্টগ্রাম কার্যালয়ে পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি আব্দুস সালাম বলেন, ইইউতে বিশ্বের রফতানিকারকদের মধ্যে চীনের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। দেশের তৈরি পোশাকের ৬০ ভাগ রফতানি হয় সেখানে। কিন্তু ইইউতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রফতানি কমেছে ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে চীনের রফতানি কমে যাওয়ার সুযোগ বাংলাদেশ নিতে পারেনি। সে সুযোগ নিয়েছে ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, শ্রীলংকার মতো দেশ।
এ সময় বক্তারা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাব আমাদের পোশাক খাতের ওপর পড়েছে। চীন থেকে বাংলাদেশে ভোগ্যপণ্য, পোশাক শিল্পের কাঁচামালসহ আমদানি হয় ১৩ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। যার মধ্যে ৩৭ শতাংশ হলো পোশাক খাতের কাঁচামাল।
নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে না এলে অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। আসন্ন দুই ঈদে বেতন-বোনাস নিয়েও পড়তে পারে বিরূপ প্রভাব।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস