গাজীপুর জেলার শ্রীপুর ও কাপাসিয়া উপজেলার শীতলক্ষ্যা তীরে স্ট্রবেরির বাম্পার ফলন হয়েছে। শীতকালীন ফল হিসেবে স্ট্রবেরির প্রচলন থাকলেও প্রান্তিক কৃষকের কল্যাণে বর্তমানে স্ট্রবেরি বাংলাদেশেও ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। বাজার চাহিদা, ফলনে এবং দাম ভালো হওয়ায় প্রতিনিয়ত গাজীপুরের কৃষকের মাঝে জনপ্রিয় হচ্ছে স্ট্রবেরি চাষ।
কৃষক তোফায়েল আহমেদ জানান, বর্ষায় জমিগুলো পানিতে ডুবে থাকে এবং বর্ষা শেষে নদীর পানি নেমে যায়। এতে পলিমাটি জমে বেশ উর্ব্বর হয়ে থাকে। এ মাটিতে যে কোনো ফসলের চাষ করলেই ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তিনি ১ হাজার স্ট্রবেরির চারা ওই জমিতে রোপণ করেন। প্রতিটি চারার দাম ছিল ৩০ টাকা। কয়েকমাস পরিচর্যা করার পর এখন ফল পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিকেজি স্ট্রবেরি ৭’শ থেকে ৮’শত টাকা কেজি বিক্রি করেছেন। এখন পর্যন্ত তিনি দেড় লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করেছেন।
একই অঞ্চলের অন্য একজন কৃষক জানান, তিনি প্রায় ৭ হাজার স্ট্রবেরির চারা রোপণ করেছেন। তাছাড়াও হুমায়ুন কবির রোপণ করেছেন ১৩ হাজার স্ট্রবেরির চারা।
কাপাসিয়া উপজেলার কুড়িয়াদী গ্রামের স্ট্রবেরি চাষি হুমায়ুন কবির বলেন, গত বছর অনেক টাকা পয়সা খরচ করে একটি পেঁপের বাগান করেছিলাম। শীলাবৃষ্টিতে তা নষ্ট হয়ে যায়। এতে আমার অনেক লোকসান হয়েছিল। তাই এবার আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি স্ট্রবেরি চাষ করবো। এবার নদীর তীরের পতিত জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করে ভালো ফলনও পেয়েছি। এখন আমার স্টবেরি চাষ দেখে এলাকার অনেক কৃষক আগামী মৌসুমে স্ট্রবেরি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মাহবুব আলম বলেন, স্ট্রবেরি ফলের মধ্যে উচ্চমাত্রায় পুষ্টি আছে। এ ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি রোগমুক্তিতেও সহায়তা করে। গাজীপুরে স্ট্রবেরির চাষ হলেও আমরা এর পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারিনি। অনেকে শখে বাসা-বাড়িতে স্ট্রবেরির চাষ করলেও এখন কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে জেগে উঠা চরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন। এ চাষ লাভজনক বিধায় গ্রামীণ অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।
আনন্দবজার/এফআইবি