নানা শর্ত আরোপের কারণে কমেছে সঞ্চয়পত্রের বিক্রির পরিমাণ। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ৭ হাজার ৬৭৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৫ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের এ সময় পর্যন্ত নিট বিক্রি ছিল ৩০ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রের সুদের উপর উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন-টিন) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্রের সব লেনদেন করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। দুর্নীতি কিংবা অপ্রদর্শিত আয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা বন্ধ করতে ক্রেতার তথ্যের একটি ডাটাবেসে সংরক্ষণের লক্ষ্যে অভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে অতিমাত্রায় নিরুৎসাহিত করতে সুদহার না কমিয়ে নানা শর্ত জুড়ে দেয়ার কারণে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমছে।
অধিদফতরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারিতে সঞ্চয়পত্রে ২ হাজার ২৪০ কোটি টাকা নিট বিক্রি হয়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে নিট বিক্রি ছিল ৬ হাজার ২ কোটি টাকা। সে হিসেবে গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় এ বছর ৩ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা নিট বিক্রি কমেছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস