ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বরুপকাঠিতে ফুল চাষে স্বাবলম্বী কৃষকেরা

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় বাহারি রকমের ফুলের চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন হাজারো কৃষক। বিশেষ করে সন্ধ্যা নদীর কোল ঘেঁষা অলংকারকাঠি গ্রামে নান্দনিক পরিবেশে গড়ে ওঠা এসব বাগানে রয়েছে দেশি বিদেশি নানা প্রজাতির ফুল ও ফলের চারা।

এসব ফুল বিক্রি করে এ মৌসুমে কৃষকরা আয় করেছে প্রায় ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা। এ কারণে দিনদিন বাড়ছে ফুলের চাষাবাদ। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের বাহারি রকমের ফুল ও ফলের চারা বা টব বিক্রিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলার নার্সারি ব্যবসায়ীরা। উপজেলার ছারছিনা, অলঙ্কারকাঠি, আটঘর, কুরিয়ানা, মাহমুদকাঠি ও পশ্চিম কুনিয়ারী গ্রামের অধিকাংশ লোকই এখন ঝুঁকছেন ফুল চাষের দিকে।

এদিকে প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে ক্রেতা আর দর্শনার্থীদের আনাগোনা। দেশের বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীরা প্রশান্তির আশায় ছুটে আসেন নেছারাবাদের ফুল বাগানে। সবুজ-হলদে ফুলের চৈত্রের বাহারি সমারোহে দর্শনার্থীদের ভিড় যেন চোখে পড়ার মতো। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ফুলের গাছ কিনতে আসেন ব্যবসায়ীরা।

এখানকার বাগানে দেশি-বিদেশি ফুলের মধ্যে রয়েছে ডালিয়া, গোলাপ, চামেলি, রজনীগন্ধা, গাদা, মাধবী, ক্যামেলিয়া, গ্যাজানিয়া ও পমালিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় শ’প্রজাতির ফুল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু জানান, নার্সারি শিল্পটি আরও সম্প্রসারিত করতে পারলে সরকার এখান থেকে ভালো রাজস্ব পাবে। তাই উপজেলার নার্সারি ব্যবসায়ীদের সকল সহযোগিতা করা হবে।

সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে জেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু হেনা মো. জাফর জানান, উপজেলার ৫২ একর জমিতে ১৫০ থেকে ২ শতাধিক ফুল ও ফলের নার্সারি রয়েছে।

 

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন