নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলতি মৌসুমে বিপুল পরিমান কুল (বরই) কেনা বেচা হওয়ার প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন কুল আমদানী এবং রপ্তানির সন্তোষজনক অবস্থা দেখে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন সৈয়দপুরের ফল আড়তদাররা।
বিক্রেতাদের ধারণা এখানকার ফল বাজারে প্রায় ২ কোটি টাকার কুলের ব্যবসা হবে। ইতোমধ্যে রংপুর বিভাগের প্রায় প্রতিটি জেলা থেকে সৈয়দপুরে আসতে শুরু করেছে নানা জাতের কুল। ক্রেতা-বিক্রেতারা বাছাই ও দরদাম করে কেনা-বেচা করছেন প্রতিদিনই। অনেকে এখান থেকে কুল কিনে পাঠিয়ে দিচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ফলের আড়ত হচ্ছে সৈয়দপুর। তাই আশপাশের জেলা-উপজেলাগুলোর কৃষকদের কাছ থেকে আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা কুল কিনে এনে এ বাজারে ভাল দাম পাওয়ার আশায় নিয়ে আসছেন। এতে বানিজ্যিকভাবে বরই উৎপাদনকারী চাষীরাও পর্যাপ্ত দাম পাচ্ছে।
রংপুর বিভাগের কুল বাগান মালিকরা আপেল কুল, বাউ কুল, থাইকুল এ বাজারে নিয়ে আসছেন। এখানকার পাইকাররা ওই কুল কিনে বাছাইয়ের পর প্যাকেটজাত করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন ফল মার্কেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। কুলের জাত ও উপজাত ভেদে প্রতিমণ কুল বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১ হাজার ২ শ’ টাকা দরে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহিনা বেগম জানান, এ অঞ্চলের কৃষকদের কুল চাষে উৎসাহিত করা হয়েছিল। এর ফলে তারা প্রায় ৭/৮ বছর যাবত কুলের চাষাবাদ করে আসছেন। কুলের ফলন ভালো হওয়ায় এবার প্রায় দুই কোটি টাকারও বেশি মূল্যের কুল বিক্রি হতে পারে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/এস এ