বড় হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। কিন্তু বাড়ছে না রাজস্ব আহরণ। দেশের কর-জিডিপি অনুপাত এখনো আটকে আছে ১০ শতাংশের ঘরেই। মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও শুল্কের মতো পরোক্ষ খাত থেকে ৭০ শতাংশ রাজস্ব আসে সরকারের। বাকি ৩০ শতাংশ আসে প্রত্যক্ষ কর থেকে। প্রত্যক্ষ করের ৮৫ শতাংশই আসে উৎসে কর কর্তন ও অগ্রিম কর থেকে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের মানুষের বড় একটা অংশ কর জালের বাইরে রয়েছে। তাই তাদের কাছ থেকে রিটার্নের ভিত্তিতে আয়কর আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। করদাতারাও আয়কর প্রদানে খুব একটা আগ্রহী নন। কারণ আয়কর আহরণ ও আদায় পদ্ধতি ঝামেলাপূর্ণ। ফলে সরকারকে ব্যয় মেটাতে পরোক্ষ করের ওপর নির্ভর করতে হয়।
দেশের জনগণের কাছ থেকে আয়ের বিভিন্ন উৎস ও সেবা প্রদান পর্যায়ে কর আদায় করার পরোক্ষ উপায় হচ্ছে উৎসে কর কর্তন বা টিডিএস। বেতন ছাড়াও চুক্তির ভিত্তিতে পরিশোধ, কমিশন, ব্রোকারেজ, রয়্যালটি পেমেন্ট, একাধিক আর্থিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আয়কৃত সুদ বা মুনাফা, পেশাগত ফি ইত্যাদির ক্ষেত্রে এ কর কর্তন প্রযোজ্য হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ২০১৭-১৮ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে সরকারের আহরিত প্রত্যক্ষ করের সর্বশেষ বিস্তারিত চিত্র পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সেই অর্থবছরে সংস্থাটি রাজস্ব আহরণ করেছে ২ লাখ ২ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে মোট আহরিত রাজস্বের ৭০ শতাংশই এসেছে পরোক্ষ কর থেকে যা ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। আর বাকি ৩০ শতাংশ বা ৬২ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা এসেছে প্রত্যক্ষ কর থেকে।
আনন্দবাজার/এস.কে