প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতেই এজেন্ট ব্যাংকিং ধারণার প্রবর্তন। এই সেবার মাধ্যমে সকল অঞ্চলের এবং সকল জনগোষ্ঠীর কাছে খুব সহজেই পৌঁছে দেয়া যাচ্ছে ব্যাংকিং সেবা। এর মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থও সহজে পৌঁছে যাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে।
দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং শুরুর মাত্র ৬ বছরেই এর গ্রাহক তৈরি হয়েছে ৫২ লাখেরও বেশি। এসব গ্রাহক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় জমা করেছেন ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি আমানত। বাংলাদেশ ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং বিষয়ে হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
বাংলাদেশে প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয় ২০১৪ সালে। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে পাইলট প্রকল্প হিসাবে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করে ব্যাংক এশিয়া।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে হিসাব খুলেছেন বিভিন্ন ব্যাংকের ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৬ জন গ্রাহক। এসব হিসাবে জমাকৃত অর্থের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫১৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে গ্রহক বেড়েছে ১১৪.৪৩ শতাংশ এবং আমানত বেড়েছে ১৪১.৫২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গ্রামীণ সুবিধা বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে এজেন্ট ব্যাংকিং চালুর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে কম খরচে সহজে ব্যাংকিং সেবা পাওয়ায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস