প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে শুধুমাত্র আমদানি খাতই নয় বরং বাংলাদেশ থেকে চীনে পণ্য রপ্তানিও পড়েছে ভাঁটার মুখে। এ ধরনের সংকট পুরোপুরি শুরুর আগে জাহাজীকরণের পর চীনের বন্দরে গিয়ে যেমন পড়ে আছে মালামাল, ঠিক তেমনি রফতানির জন্যও দেশে প্রস্তুত রয়েছে পর্যাপ্ত পণ্য।
কবে নাগাদ এই দুর্দশা কাটবে তাই নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছে ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জনান, এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে রপ্তানি খাতে অন্ধকার নেমে আসবে। এদিকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে চীনের বাজারে প্রায় ৩শ রকমের পণ্য যায়। এসব পণ্য থেকে বছরে প্রায় ৫ কোটি ডলার আয় হয়ে থাকে।
চীনে মাছ রফতানিকারক সৌমেন্দু বসু জানিয়েছেন, চায়না নিউ ইয়ারের ছুটির সঙ্গে দেশে মাছ আহরণ ও প্রক্রিয়াকরণের সময় না মেলার কারণে এক ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এর ওপর আবার করোনাভাইরাসে নাজেহাল অবস্থা।
বাংলাদেশ ওমেজম এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রমা কান্ত মজুমদার বলেছেন, পশুর নাড়ি-ভুঁড়ি বা ওমেজম শুধুমাত্র চীনেই রপ্তানি হয়ে থাকে। রপ্তানির পর থেকেই পথে আটকে পড়ে গেছে এ পণ্যটিও। এদিকে দেশেও পড়ে আছে রপ্তানির অপেক্ষায়।এ সব মিলিয়ে চরম দিশেহারা অবস্থা বিরাজ করছে।
আনন্দবাজার/এম.কে