ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভগ্নাবস্থায় দেশের ব্যাংক খাত

একটি দেশের ব্যাংক খাতের সক্ষমতা কতটা তা জেড-স্কোরে প্রাপ্ত নম্বর দেখেই বোঝা সম্ভব। প্রতি বছরই বিশ্বের সব দেশের ব্যাংকের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে জেড-স্কোর প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। মৌলিক এ সূচকে অধিক নম্বরপ্রাপ্ত দেশের ব্যাংকগুলোর ওপর ভরসা রাখে বিশ্বের বৃহৎ ব্যাংকগুলো, এড়িয়ে যায় কম নম্বর পাওয়া দেশের ব্যাংককে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোও এখন এড়িয়ে যাওয়ার অবস্থায়। কারণ জেড-স্কোরের এ সূচকের একেবারেই তলানিতে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত। যদিও এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে প্রতিবেশী দেশগুলো।

জেড-স্কোরে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের প্রাপ্ত নম্বর হলো ৭ দশমিক ১। অথচ নেপাল ও ভুটানের ছোট দেশ হওয়া সত্ত্বেও ব্যাংক খাতে প্রাপ্ত নম্বর ২৭-এর বেশি। মৌলিক এ সূচকে বাংলাদেশের থেকে এগিয়ে আছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, এমনকি পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডাও।

বিশ্বব্যাংকের পরীক্ষায় বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক খাত। দেশটির প্রাপ্ত স্কোর হলো ২৯ দশমিক ৮। ইউরোপের বৃহৎ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাংক খাত জার্মানির। জেড-স্কোর সূচকে দেশটির ব্যাংক খাতের স্কোর হলো ২৪ দশমিক ৮ নম্বর।

বাংলাদেশের ব্যাংক খাত যে খুব খারাপ, এটা বলার জন্য কোনো গবেষণার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের প্রাক্তন লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন। তিনি আরও বলেন, আমরা নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশের ব্যাংক খাত বিপর্যয়ের মধ্যে আছে। দিন দিন এ বিপর্যয় আরো গুরুতর হচ্ছে। এর জন্য বিশ্বব্যাংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।

আনন্দবাজার/তাঅ

সংবাদটি শেয়ার করুন