আসছে ভালোবাসা দিবস। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে অবিবাহিত জুটিদের মধ্যেই এই দিবসকে ঘিরে আগ্রহ-উৎসাহ বেশি। অনেকেই বিয়ের পরে বিয়ের পর বুঝতে পারেন না এখনও তাদের ভালোবাসা দিবস উদযাপন করা উচিৎ, নাকি খুব একটা প্রয়োজন নেই?
আসলে ভালোবাসার রয়েছে প্রতিটি সম্পর্কেই। সেটা একটি বিশেষ দিনে উদযাপনও দোষের কিছু না। তবে বিয়ের পর এই দিবসটা পালনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরী-
আপনি যদি যৌথ পরিবারের হয়ে থাকেন, এমতাবস্থায় সবার মধ্যে উদযাপন করা সম্ভব নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে চলুন। সম্ভব হলে দুজন দুজনকে সময় দিন সেটা হোক ঘরে বা বাইরে। অযথা একগুঁয়ে হয়ে থেকে সম্পর্কে চিড় ধরাবেন না।
সদ্যই বিয়ে হয়েছে, আর এটাই প্রথম ভালোবাসা দিবস? সঙ্গীর কাছ থেকে ভালো একটি উপহার আপনি আশা করতেই পারেন। কিন্তু বিয়ের সময়ে যদি বেশকিছু টাকা খরচ হয়ে থাকে, এই মুহূর্তে একটু টানাটানি চলা খুব স্বাভাবিক। সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তাই তার দেয়া উপহার পছন্দ না হলেও মন খারাপ করে থাকবেন না। বরং পরস্পরের অসুবিধা বুঝে চললে দু’জনের সম্পর্কটাই মধুর হবে।
ভালোবাসা দিবসে যদি আপনার সঙ্গী উইশ করতে ভুলেও যায়, তা নিয়ে মন খারাপ করে থাকবেন না। এমনটা ভাববেন না, বিয়ে হয়ে গেছে বলে আপনি তার কাছে পুরোনো হয়ে গেছেন, তার কাছে আপনার আর কোনো গুরুত্ব নেই! হয়তো ব্যস্ততায় তিনি উইশ করতে ভুলে গেছে। অবুঝ অভিমান করলে আপনার সম্পর্কেরই ক্ষতি। ব্যক্তিগত স্পেসটা একে অপরকে দিলে তবেই আপনারা ভাল থাকবেন।
আনন্দবাজার/তাঅ