বন্ধুর কাছ থেকে উৎসাহ পেয়ে ২০১৩ সালে এক বিঘা জমির উপর ‘বাউকুল বরই’ এর বাগান শুরু করেন আফজাল হোসেনে। প্রথম বছরের আবাদ থেকেই লাভের মুখ দেখেন তিনি। ধারাবাহিকভাবে সফলতা পেয়ে বর্তমানে তিনি তিন বিঘা জমিতে বাউকুল চাষ করছেন।
বাউকুল আবাদ করে গ্রামের সবার দৃষ্টি কেড়েছেন আফজাল। জীবন যাপনের এক সময়ে নুন আন্তে পান্তা ফুরালেও এখন তিনি বেশ স্বাবলম্বী। অন্যদিকে নিজের এলাকায় এখন তিনি একজন সফল চাষী হিসেবে পরিচিত।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের ছাইগাড়ী গ্রামের আনছার আলীর ছেলে আফজাল হোসেন।
আফজাল হোসেন জানান, ৭ বছর আগে রাজশাহীতে এক বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। বন্ধুর ‘বাউকুল বরই’ আবাদ দেখে নিজেও করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর বাড়ি ফিরে নিজের এক বিঘা জমিতে শুরু করেন বাউকুল বরই চাষ। আর এভাবেই তার পথচলা শুরু।
তিনি আরও জানান, তার বাগানে এখন প্রায় ১২০০ বাউকুলের গাছ আছে। গত বছরের চেয়ে এবার ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। তাছাড়া, পুরো জমির উপর নেট ব্যবহার করায় বরই নষ্ট হয়েছে কম। এবার প্রায় ৩০০ মণ বরই উৎপাদন হবে বলেয়া তিনি আশাবাদী। যা থেকে প্রায় ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা আয় হবে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, বাউকুল খুবই সুস্বাদু ফল। গাছ লাগানোর ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যেই এর ফল পাওয়া যায়। খরচও হয় কম। এছাড়া, আফজাল হোসেনকে অনুসরণ করে এলাকায় অনেক তরুণই এখন এ বরই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
আনন্দবাজার/শাহী