গত জানুয়ারি মাস জুড়ে সিরাজগঞ্জে কম বেশি শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করেছে। এর সঙ্গে ঘন কুয়াশায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার অধিকাংশ বোরো বীজতলা। ‘কোল্ড ইনজুরি’তে আক্রান্ত বীজতলার চারা বাড়ছে না, আবার কিছু স্থানে লাল ও সাদা রঙ ধারণ করে নষ্ট হয়ে ঝরে যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে জেলায় চারা সংকটের আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
এদিকে বোরো চারা রক্ষায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলায় প্রতিদিন সকালে পানি দেয়া, কীটনাশক প্রয়োগ ও ঢেকে রাখাসহ নানা পরিচর্যা করেও কোন লাভ হচ্ছে না। এতে ভরা মৌসুমে চারার অভাবে বোরো জমি পড়ে থাকার আশঙ্কা করছেন চাষীরা। এছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে বোরো চারা এনে রোপণ করলে উৎপাদন ব্যয়ও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে তারা।
জেলা কৃষি বিভাগ কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি মৌসুমে সিরাজগঞ্জে ১ লাখ ৪১ হাজার ৮০ হেক্টর বোরো আবাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এজন্য ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর বীজতলা তৈরির লক্ষ্য ধরা হয়েছিল। যদিও বীজতলা তৈরি করা হয় ৬ হাজার ৫০ হেক্টর। বৈরী আবহাওয়ার কারণে তৈরি করা প্রায় তিন হাজার হেক্টর বীজতলা এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আনন্দবাজার/তাঅ