বিভিন্ন জাতের ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন বাড়লেও অর্থকারী ফসল আখের ক্ষেত্রে এখনও তেমন কোন উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন হয়নি। তবে দু-একটি উন্নত জাত থাকলেও আবহাওয়ার গড়মিলের কারনে অনেক অঞ্চলে ভালো ফলন হচ্ছে না। এতে কুষ্টিয়া সুগারমিলের আখ রোপনসহ চিনি উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হচ্ছে।
নব্বইয়ের দশকেও উচ্চ ফলনশীল বেশ কয়েকটি জাতের আখ ছিলো। এসব আখ আবাদ করে চাষিরা যেমন লাভবান হয়েছে, তেমনি প্রচুর চিনি উৎপাদন হয়েছে।
কিন্তু বর্তমানে উচ্চফলনশীল সেইসব জাতের আখ নেই। তবে নতুন জাতের যেসব আখ আবাদ হয়. সেগুলোর ফলন একর প্রতি মাত্র ৯ থেকে ১০ টন। এক মণ আখে কুষ্টিয়া চিনিকলে মাত্র ২ কেজি চিনি উৎপাদন হয়। এতে লোকসান বাড়ে মিলের। ক্ষতিগ্রস্ত হন চাষিরা।
কুষ্টিয়া গত ১০ বছর আগেও কুষ্টিয়ায় প্রচুর আখ উৎপাদন হলেও এখন তা হয় না। তাই, আখের উন্নত জাত উদ্ভাবন ও মিলের আধুনিকায়নের দাবি কৃষক ও সিবিএ নেতাদের। আখ চাষে নানা সংকট থাকলেও তা কাটিয়ে উঠতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সরোয়ার মুর্শেদ।
তবে গত বছর অর্থ সংকট থাকলেও এবার আখ দেয়ার সাথে সাথে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই টাকা পাচ্ছেন চাষিরা। মিল আধুনিকায়ন হলে চিনিকল তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলে প্রত্যাশা সবার।
আনন্দবাজার/এফআইবি