সড়ক দুর্ঘটনার প্রভাব ব্যাপক বাংলাদেশে। দুর্ঘটনা ক্রমশই বেড়েই চলেছে। উন্নত সড়কনিরাপত্তা বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ালে সাধারন জনগণ অনেকটাই স্বস্তি পাবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংক-জাতিসংঘের যৌথ আয়োজনে রোড সেফটি চ্যাম্পিয়ন ভিডিও কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয় বিশ্বব্যাংকের অফিসে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার, কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টিমবন, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপো, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার উন্নত সড়কনিরাপত্তা বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বাড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার প্রভাব ব্যাপক। একটি শিশু যখন দুর্ঘটনায় নিহত হয় তখন পুরো পরিবারের ভবিষ্যত্ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সড়ক দুর্ঘটনা একটি দেশের সম্ভাবনা এবং মানুষের বিকাশকে ক্ষুণ্ন করে।
তিনি আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় অর্থনীতির যে ক্ষতি হয় তার পরিমাণ বছরে জিডিপির তিন থেকে পাঁচ শতাংশের সমান। নিরাপদ সড়কের পাশাপাশি দুর্ঘটনার পরবর্তী চিকিত্সাসেবা গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের নিরাপদ সড়ক নিয়ে ২৫ কোটি ডলার সহায়তা নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সাথে আলোচনা হচ্ছে। নিরাপদ সড়ক গড়তে এ ধরনের প্রতিযোগিতা তরুণদের উত্সাহিত করবে। ভবিষ্যতে আরো নতুন ধারণা নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয় অনুষ্ঠানে।
আনন্দবাজার/এইচ.এস.কে