গতকাল বিশ্বের ৪৭ দেশের পুঁজিবাজারের সূচক দশমিক ৪৭ শতাংশ কমেছে। ২৩ জানুয়ারির পর এটিই সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান। গতকাল লেনদেনের শুরুতে ইউরোপের পুঁজিবাজার সূচক নিম্নমুখী ধারায় লেনদেন শুরু করে। এর প্রভাব পড়ে এশিয়ার পুঁজিবাজারেও। ইউরোপের সূচকের মধ্যে স্টকক্স৬০ সূচক কমেছে দুই শতাংশের বেশি, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের পর যা সর্বনিম্ন। এছাড়া লন্ডনের এফটিএসই সূচক কমেছে দুই দশমিক ৪৬ শতাংশ, জার্মানির ডিএএক্স সূচক কমেছে দুই দশমিক ২৩ শতাংশ এবং ফ্রান্সের সিএসসি সূচক কমেছে দুই দশমিক ৪০ শতাংশ।
এশিয়ার বাজারের মধ্যে জাপানের নিক্কেই সূচক কমেছে দুই দশমিক শূন্য তিন শতাংশ এবং চীনের সাংহাই সূচক কমেছে দুই দশমিক ৭৫ শতাংশ। এছাড়া গতকাল ভারতের সেনসেক্স সূচক এক শতাংশের বেশি। এর আগের দিন মার্কিন পুঁজিবাজারও ছিল নিম্নমুখী। এর মধ্যে ডাও জোনস সূচক কমেছিল দশমিক ৫৮ শতাংশ, নাসডাক সূচক কমেছিল প্রায় এক শতাংশ এবং এসঅ্যান্ডপি সূচক কমেছে দশমিক ৯০ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভাইরাসের কারণে বাজারে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এ ধারা চলতি সপ্তাহব্যাপী অব্যাহত থাকতে পারে। পুঁজিবাজারের পাশাপাশি গতকাল বিশ্ববাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দামও। গতকাল লন্ডনের বাজারে প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয় ৫৮ ডলার ৬৮ সেন্টে, আগের দিনের তুলনায় যা তিন শতাংশ কম। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে এদিন প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম পৌঁছায় ৫২ ডলার ১৫ সেন্টে। আগের দিনের তুলনায় এ দাম তিন ডলার ৮০ সেন্ট কম। এটি গত দেড় মাসের মধ্যে পণ্যটির সর্বনিম্ন দাম।
সূত্র – রয়টার্স
আনন্দবাজার/জায়েদ