শিশুরা বুঝে না বুঝে মিথ্যা কথা বলে। কিন্তু মিথ্যা বলতে বলতে এমন হয় যে মিথ্যা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। তখন তারা কারণে অকারণে মিথ্যা বলে।
যে যে কারণে শিশুরা মিথ্যা বলেঃ
১. শিশুরা কল্পনাপ্রবণ হলে মিথ্যের আশ্রয় নিতে পারে।
২. অনেক শিশু বিশেষ উদ্দেশে মিথ্যা কথা বলে। যেমন হয়তো তার সেদিন হোমওয়ার্ক হয়নি। সেদিন স্কুল না যাওয়ার জন্য সে পেটে ব্যথা, মাথাব্যথা বলতেই পারে।
৩. মা-বাবা খুব রাগী হলেও শিশুরা মিথ্যা বলে।
৪. বাড়ির বড়রা যদি মিথ্যা বলে শিশুরাও মিথ্যা বলতে শিখবে।
৫. বড়দের মতোই অপ্রিয় সত্য কথা গোপন করতেও শিশুরা মিথ্যা বলে।
শিশুরা ক্রমাগত মিথ্যা বলতে থাকলে যা যা করবেনঃ
১. শিশুরা যা দেখে তাই শেখে। তাই আগে নিজের আচরণ পরিবর্তন করুন।
২. মিথ্যা বললে শিশুকে মারধর করবেন না। বরং তাকে বুঝিয়ে বলুন। যে সব শিশু কল্পনাপ্রবণ, তাদের কথাগুলো মজার গল্প বলে প্রশংসা করুন।
৩. মনোবিদদের মতে, ৬ বছর বয়সের পর শিশুদের ‘সুপার ইগো’র বিকাশ ঘটে। এ বয়সের পর থেকে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল সে বুঝতে শেখে। এ সময় তাকে নীতিকথামূলক গল্প শোনান। মিথ্যা বলার প্রবণতা কতটা খারাপ সেটা তাকে বারবার বুঝিয়ে দিন।
আনন্দবাজার/ টি এস পি