ঢাকা | শনিবার
১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাকুরীজীবী থেকে চাকুরীদাতা হয়ে ওঠার গল্প

উদ্যোক্তাদের সবাই চেনে কিন্তু উদ্যোক্তা তৈরী করার পেছনে কারিগরদের খুব কম মানুষই চেনে। আমরা সবাই চাই একটা ভালো চাকুরী, ভালো বেতন, বিলাসবহুল জীবন। কিন্তু আমরা কজন’ই বা চাই আমার মতো করে করে আর ৫ টা মানুষের ভাগ্যন্নয়নে সহায়তা করতে। কজন’ই বা পারি সব ভালোগুলো একসাথে পেয়েও সব ছেড়ে অন্যকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয়ে মাঠে নামতে ! আসুন আজ সেরকমই একজনের সাথে পরিচিত করিয়ে দিই যিনি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ভালো কোম্পানিতে চাকুরী করেও চাকুরী ছেড়ে দিয়ে মাঠে নেমেছেন উদ্যোক্তা তৈরী করার মহৎ ব্রত নিয়ে।

হেমি হোসেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। তিনি একজন ইন্টারন্যাশনাল লাইফ কোচ, বিজনেস মেন্টর এবং একজন সফল উদ্যোক্তা। অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশে পাঁচটিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের সফলতার পর এবার নিজেই নেমেছেন ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরীর মহান উদ্দেশ্য নিয়ে।

মনে প্রাণে বাঙালি হেমি হোসেন এই সফলতার গল্প সবার আগে ভাগ করে নিতে চান তার প্রিয় জন্মভূমির সাথে। নিজের কাজ দ্বারা অন্যকে আগ্রহী করে তুলতে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন ‘ফায়ার ইউর বস’ নামের একটি বই। চাকুরীজীবী থেকে চাকুরীদাতা হয়ে ওঠার গল্পই প্রাধান্য পেয়েছে এই বইটিতে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত হোটেল সিক্স সিজন–এ সন্ধ্যায় আয়োজিত এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী, অস্ট্রেলিয়ার রয়্যাল মেলবোর্ন ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি’র প্রফেসর শামস রহমান, নিজের বলার মতা একটি গল্প-এর প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল বাহার সহ দেশের বিশিষ্টজনরা।

আন্তর্জাতিক মাধ্যমে প্রকাশিত হবার আগেই বাংলাদেশে বইটি প্রকাশিত করলেন তিনি। হেমি হোসেনের মনে করেন পজিটিভ মাইন্ডসেট এবং প্রোপার স্কিল সেট আপনাকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিণত করতে পারে।

এছাড়াও হেমি উল্লেখ করে জানান ‘ইতিমধ্যেই আমি বাংলাদেশে প্রায় ১০০ জন সফল উদ্যোক্তা তৈরী করেছি, যারা একসময় চাকুরী করলেও এখন আর চাকুরী করেন না, বরং চাকুরী দেয়। তরুণদের উন্নয়নের দ্বারাই এগিয়ে যাবে দেশ, এটাই আমার প্রত্যাশা।’

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন