ঢাকা | বুধবার
১৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সমন্বিত ব্যবস্থার অভাবে কমছে নারী উদ্যোগক্তা

সমন্বিত ব্যবস্থার অভাবে দিন দিন  কমছে গ্রামীণ নারী উদ্যোগক্তা । তবে নারী উদ্যোক্তা বাড়াতে  বিভিন্ন সময় নেওয়া হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ। কিন্তু বাস্তবে উদ্যোগ দীর্ঘমেয়াদী হওয়া তেমন ফল বয়ে আনছে না বলে ধারণা করছে বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া হলে, নিশ্চিত করা যাবে নারীবান্ধব বিপনন ব্যবস্থা।

কৃষিনির্ভর এ দেশে, কৃষিকে যেমন উপেক্ষা করা যায় না, তেমনি অস্বীকারের উপায় নেই এ খাতে নারীর অবদানও। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ২০১৬ সালের জরিপ বলছে, দেশের ১ কোটি ২০ লাখ নারী শ্রমিকের, ৭৪ শতাংশই কোনো না কোনোভাবে কৃষি সঙ্গে সম্পৃক্ত।

এদিকে, বিদ্যমান বাজারব্যবস্থায় নারীর অংশগ্রহণ এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। সেই বাস্তবতা মাথায় রেখেই, বাজারে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে ২০০১ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে, ৮ বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প হাতে নেয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কিন্তু নানা কারণে তা আর সাফল্যের মুখ দেখেনি।

নারীবান্ধব বাজার নিশ্চিতে বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নিয়েছে নানা পদক্ষেপ। সম্প্রতি শেষ হয়েছে, অ্যাকশন এইডের তেমনই একটি প্রকল্প। দীর্ঘ মেয়াদে কতটা কাজে আসছে এসব উদ্যোগ?

কৃষিবিদ হামিদুর রহমান বলছেন, যখন এনজিওর সাপোর্ট থাকে তখন কর্মকান্ড থাকে প্রকল্প চলে। কিন্তু যখনই
এনজিওর সাপোর্ট চলে যায় তখন আর ওগুলো ওভাবে চলে না। আমরা চারটি এগরিমল করেছিলাম যা ছিল নারী বান্ধব। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত যখন প্রকল্প সহায়তা চলে গেছে সেগুলো আর তাঁর উদ্দেশ অনুযায়ি চলছে না।

অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান মনে করেন, সার্বিক বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়নই নিশ্চিত করতে পারে, একটি নারীবান্ধব বিপনন ব্যবস্থা।

সংবাদটি শেয়ার করুন