ঢাকা | মঙ্গলবার
২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রউফ কলেজের শিক্ষার্থী তাহিয়া তাসনিম ফিমার রহস্যজনক মৃত্যু

রউফ কলেজের এইচএসসি-২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাহিয়া তাসনিম ফিমার রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, তার স্বামী কাজী সাগরই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

ঘটনার দিন, ২০ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাহিয়া তাসনিম ফিমার মরদেহ তার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক সূত্র জানায়, মৃত্যুর দুই ঘণ্টা পূর্বে সাগর ফিমার বাসায় আসে এবং ঘণ্টাখানেক থাকার পর চলে যায়। কিছুক্ষণ পর ফিমার বাবা তার রুমে গিয়ে দেখেন, তার মেয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।

জানা যায়, কাজী সাগর (পিতা: কাজী মনিরুল হক, মাতা: দলী পারভীন) তাহিয়া তাসনিম ফিমাকে জোর করে বিয়ে করতে বাধ্য করেন। পূর্বে বিবাহিত থাকার কারণে ফিমা বিয়েতে রাজি না হলে সাগর তাকে ডিভোর্সের ভুয়া কাগজ দেখিয়ে বিয়েতে বাধ্য করে।

পরিবারের দাবি, ফিমার গলায় স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন এবং শরীরে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা শ্বাসরোধ করে হত্যার ইঙ্গিত দেয়। সন্দেহ করা হচ্ছে, তার স্বামী কাজী সাগরই তাকে হত্যা করেছে। ঘটনার পরপরই কাজী সাগর পলাতক রয়েছে। জানা গেছে, সে দুবাইয়ের ভিসাধারী এবং দ্রুত দুবাই পালানোর চেষ্টা করছে।

নিহতের মামা মো. মনির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ফিমার গলায় স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন এবং শরীরে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা শ্বাসরোধ করে হত্যার ইঙ্গিত দেয়। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে আসলে আমরা মামলার প্রক্রিয়ায় যাব ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এবং আসামিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে। ফিমার পরিবার ও বন্ধুরা ন্যায়বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন