৫ জানুয়ারির মধ্যে ৪৩তম বিসিএসের ২য় গেজেট থেকে বাদ পড়াসহ মোট ২২২ জন ক্যাডার অফিসারের নাম গেজেটভুক্ত করে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব ক্যাডারদের সঙ্গে যোগদানের দাবি জানিয়েছেন বঞ্চিত ক্যাডাররা। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, ৪৩তম বিসিএস এর প্রথম গেজেটে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশিত হওয়া ২য় গেজেটে ১৬৮ জনসহ মোট ২২২ জনের বাদ পড়ার কোন কারণ জানেন না তারা। যার প্রেক্ষিতে সামাজিক হেয় প্রতিপন্ন ও চরম হতাশায় ভোগছেন।
তারা আরও জানান, জুলাই বিপ্লবের পর সব ধাপে উত্তীর্ণ হয়েও কোনো এক অজানা কারণে বাদ পড়া বৈষম্যের আন্দোলনের স্পিরিটের পরিপন্থি। এ সময় ৫ জানুয়ারির মধ্যে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
বঞ্চিত ক্যাডাররা জানান, ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন ২১৬৩ জন ২৬টি ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। পরে কয়েক দফায় তদন্ত সাপেক্ষে ১৫ অক্টোবর এ সদস্যদের গেজেটভুক্ত করা হয়। গেজেট যোগদানের তারিখ ১৭ নভেম্বর নির্ধারণ করা হলেও পরে তারিখ পিছিয়ে ১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। দুঃখের বিষয় ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশিত ২য় গেজেটে ১৬৮ জনসহ সর্বমোট ২২২ জন প্রার্থীকে গেজেট থেকে বাদ দেওয়া হয়। এ অবস্থায় তারা অধিকাংশ প্রার্থী চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাসুমা আক্তার সিথি বলেন, গেজেট থেকে বাদ দেয়ায় আমাদের ২২২ জন প্রার্থী এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল পরিবার সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন, চরম হতাশাগ্রস্ত এবং দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। জুলাই বিপ্লবের পথ ধরে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্য, তা পূরণে মেধা ও যোগ্যতা ভিত্তিক সিভিল সার্ভিসের বিকল্প নেই। কিন্তু আমরা সুপারিশপ্রাপ্ত এবং গেজেট প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও পুনঃপ্রকাশিত গেজেটে অজ্ঞাত কারণে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটের পরিপন্থি।
শিক্ষা ক্যাডারে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত শাহ মোহাম্মদ রায়হান মিয়া বলেন, বিগত সরকারের আমলে আমাদের প্রথম ভ্যারিফিকেশন হয়। এ সরকারের আমলে পুনরায় ভ্যারিফিকেশন হওয়ার পর আমাদের প্রথম গ্যাজেট প্রকাশ করা হয়। সেখানে আমাদের সবাই রয়েছে। কিন্তু পরে আমাদের বাদ দেয়া হয়েছে।