ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৪ঠা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি চাকরিজীবী যুবককে বন্দুক ঠেকিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে!

সরকারি চাকরি যেন সোনার হরিণ। সেই সরকারি চাকরিই ‘কাল’ হলো এক যুবকের। স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেতেই জোর করে তুলে নিল কনেপক্ষ! প্রাণের ভয়ে শেষ পর্যন্ত বিয়েও করতে হলো ওই যুবককে। এই ঘটনা রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ঘটনাটি ভারতের বিহার রাজ্যের। সম্প্রতি অবনীশ কুমার নামের এক যুবক পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় সফল হয়ে স্কুল শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন। আর এই চাকরি পাওয়ার পরই তাঁর জীবনে অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটল।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার বাড়ি থেকে স্কুলে যাচ্ছিলেন অবনীশ। হঠাৎ বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাকে ঘিরে ধরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর দিকে বন্দুক তাক করে গাড়িতে উঠতে বলে। জোর করে গাড়িতে তুলে নেয় অবনীশকে। গাড়ি সোজা গিয়ে থামে একটি মন্দিরের সামনে। সেখানেই আগে থেকেই বিয়ের সাজে হাজির কনে। এরপর অবনীশকে বিয়ে করতে বলা হয় ওই তরুণীকে। এমনকি ভয় দেখিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ অবনীশের।

বিয়ের সাজে থাকা পাত্রীর নাম গুঞ্জন। গুঞ্জনের দাবি, অবনীশের সঙ্গে তাঁর চার বছরের প্রেম। বিয়ে করারও কথা ছিল। কিন্তু সরকারি চাকরি পেতেই অবনীশ সব অস্বীকার করে। এমনকি যোগাযোগও করা যাচ্ছিল না অবনীশের সঙ্গে। পরিবার এ ঘটনা জানতে পেরে তাকে তুলে এনে বিয়ের ব্যবস্থা করল।

পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন সদ্য সরকারি চাকরি পাওয়া অবনীশ। তিনি বলেন, ‘আমি ওই মেয়েকে চিনি না। ও বারবার ফোন করে আমাকে বিরক্ত করত। ঘটনার দিন কয়েকজন আমাকে অপহরণ করে। ওরা আমাকে মারধর করে এবং জোর করে বিয়ে দেয়।’

বিয়ের পর অবনীশের বাড়িতে যান গুঞ্জন। সেখানেও বিপত্তি বাধে। অবনীশের বাবা-মা ওই মেয়েকে পত্রবধূ হিসেবে মানতে চাননি। এরপর থানায় অভিযোগ জানান গুঞ্জন। পাল্টা অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন অবনীশও। ঘটনাটি তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সংবাদটি শেয়ার করুন