প্রকৃতির এক মহৎ সৃষ্টি হলো গাছপালা। সেই গাছ যদি হয় রহস্যময় তাহলে তো কথাই নেই। এমনি এক গাছের দেখা মিলেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের কাছিকাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে। এটি বিরল প্রকৃতির ১১ মাথাওয়ালা একটি নারিকেল গাছ। স্থানীয়রা এটিকে আল্লাহর কুদরতি গাছ হিসেবে দেখছেন।
২৫ নভেম্বর সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাছটির মোট ১২টি মাথা থাকলেও একটি মাথা শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি ১১টি মাথা সবুজ আর প্রাণবন্ত অবস্থায় রয়েছে। এ ধরনের নারিকেল গাছ এলাকায় প্রমবারের মতো দেখা গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
কাছিকাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক ছাত্র ও মশিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারী জানান, “আমাদের ছাত্রজীবনে মরহুম সরফাতুল্লাহ তালুকদার এই স্কুলের সভাপতি থাকার সময় গাছটি রোপণ করেছিলেন। বর্তমানে গাছটির ১১টি মাথা রয়েছে। এটি বিরল প্রকৃতির অসাধারণ একটি গাছ। গাছটি দেখতে প্রতিদিন দুর দুড়ান্ত থেকে অসংখ্য লোক ভীর করছে।”
বিরল এ নারিকেল গাছ দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক দর্শনার্থী ভীর জমাচ্ছে। এলাকাবাসীর মধ্যে এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা মনে করেন, এটি প্রকৃতির এক অদ্ভুত সৃষ্টি। তাই এর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে কাছিকাটা স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (অবঃ) মো. আবদুর রহীম বলেন, “গাছটির মুলত ১৩ টি মাথা ছিল, যে মাথাটি শুকিয়ে নষ্ট হ’য়ে গেছে ওটার সাথে আরো একটি মাথা নষ্ট হওয়ায় এখন ১১ টি মাথা দেখা যাচ্ছে। পরিবেশবিদদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন গাছটির পরিচর্যা এবং সংরক্ষণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান তিনি।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার বলেন, “বিরল প্রকৃতির এই নারিকেল গাছটির পরিচর্যা এবং সংরক্ষণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
আনন্দবাজার/ এমকে