আগামী মাসের মধ্যে এলএনজি সরবরাহের জন্য তিনটি পাইপলাইনের নির্মাণকাজ শেষ হবে। এর সাথে আগের দুটি মিলিয়ে মোট ৫টি পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আসবে। এর ফলে এলএনজি সরবরাহ বাড়ছে। বর্তমানে সর্বোচ্চ ৫৬০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হয়।
গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. আতিকুজ্জামান বলেন, ‘মহেশখালী-আনোয়ারা প্যারালাল লাইন, চট্টগ্রাম-ফেনী-বাখরাবাদ এবং জিরো পয়েন্ট থেকে মহেশখালী সিটি এমএস সাত কিলোমিটার পাইপলাইন। মোট তিনটি লাইন হচ্ছে। এই তিনটি লাইনের কাজ শেষ হবে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।’ তিনি জানান, ‘পাইপলাইনগুলোর কাজ শেষ হলে প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা যাবে। তবে, কারিগরি কিছু সমস্যার কারণে পুরোটা আমরা এখনই দিতে পারবো কিনা তা বলা যাচ্ছে না।’
২০১৮ সালের আগস্ট মাসে প্রথম এলএনজি আসে বাংলাদেশে। এলএনজি সরবরাহ শুরু করে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি। এরপর গত বছরের মে মাস থেকে সামিটের এলএনজি টার্মিনাল চালু হয়। এই দুই টার্মিনালের মাধ্যমে ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের কথা থাকলেও পাইপলাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় এখন গড়ে ৫৬০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে পাইপলাইনগুলোর কাজ শেষ হলে পূর্ণমাত্রায় অর্থাৎ এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে বলে আশা করছে জিটিসিএল।
আনন্দবাজার/জায়েদ