দিনের খেলা তখনও প্রায় দশ ওভার বাকি। আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা গেল বন্ধ হয়ে। সেখানেই ইতি টানা হলো দিনের খেলার।
চেন্নাই টেস্টের তৃতীয় দিন আম্পায়ার যখন দিনের খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন বাংলাদেশের রান তখন ৪ উইকেটে ১৫৮। শান্ত ব্যাট করছিলেন ৬০ বলে ৫১ রানে, ১৪ বলে ৫ রানে সাকিব। জয় থেকে দল তখনও ৩৫৭ রান দূরে।
ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে বাংলাদেশের জয়ের আশা নেই বললেই চলে। প্রথম ইনিংসে ভারতের ৩৭৬ রানের জবাবে ১৪৯ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে এগিয়ে থাকা ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ফলে বাংলাদেশের জন্য জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১৫ রানে। বিশাল এই লক্ষ্য তাড়ায় ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তুলে দিন দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। জয়ের থেকে এখনো ৩৫৭ রান দূরে টাইগাররা।
গতকালের ৩ উইকেট হারিয়ে ৮১ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। এদিন দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন ঋশাভ পন্থ ও শুভমান গিল। দুজনেই পেয়েছেন সেঞ্চুরি। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আউট হওয়ার আগে ১২৮ বলে ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১০৯ রান করেন পন্থ। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে শুভমান গিলের সঙ্গে ২১৭ বলে ১৬৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। পন্থ আউট হলেও লোকেশ রাহুলকে নিয়ে উইকেটে অপরাজিত ছিলেন গিল। ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। ১৭৬ বলে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কায় অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। লোকেশ রাহুল ২২ রানে অপরাজিত থাকেন। তাতে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করলে ৫১৫ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ।
পাহাড়সম লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশে। জাকির হাসান ও সাদমান ইসলামের ওপেনিং জুটিতে আসে ৬২ রান। ভারতের বিপক্ষে তাদের মাটিতে টেস্টে এটিই সর্বোচ্চ ওপেনিং রানের জুটি। তবে ভালো শুরু করেও সেটি ধরে রাখতে পারেননি তারা। দলীয় ৬২ রানে জাকির হাসানকে ফেরান জাসপ্রিত বুমরাহ। ৪৭ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। আরেক ওপেনার সাদমান ৩৫ রান করে ফেরেন অশ্বিনের বলে। তিনে নেমে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন শান্ত। সাদমানের ফেরার পর মুমিনুলও সেট হয়ে আউট হয়েছেন দলীয় ১২৪ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে প্যাভিলিয়নের পথ ধরা মুমিনুল করেছেন ১৩ রান।
আনন্দবাজার/ আরবি